রাণীশংকৈলে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা রাণীশংকৈল পাইলট স্কুল সংলগ্ন কুলিক নগীর উপর নির্মিত ব্রীজের সন্নিকটে পশ্চিম অংশের রাস্তা হুমকীর মুখে পড়েছে
রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ-জনগাও হাট ভায়া পাইলট স্কুল রাস্তায় ৫২০ মিটার চেইনেন এ কুলিক নদীর উপর ৮৫০ মিটার আর সিসি গাডার ব্রীজ নির্মান করা হয়।

বৃষ্টির ভরা মৌসুম না আসার আগেই সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পার্শ্বে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ গর্তে পরিণত হয়েছে। দুই একটি ভারী বর্ষন হলেই যে কোন মুহুর্তে রাস্তা ভেঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সহ ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বড় ও মাঝারি ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হলেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অটো চার্জার, রিক্সা, ভ্যান, লসিমন সহ বিভিন্ন ধরনের যান ও মালবাহি পরিবহন। উপজেলার যে কোন মুহুর্তে রাস্তার পুরো অংশ ভেঙ্গে গিয়ে জন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ইতোমধ্যে অটো চার্জার, ভ্যান, সাইকেলে কয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে পথচারীরা।

যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনান শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে পারে এখানে। পুরো রাস্তাটি এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। পৌর মেয়র আলমগীর সরকার রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে ঝুঁকিমুক্ত চলাচলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও তা এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলার পথ এটি। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের প্রাই দুই কিলোমিটার ব্যস্ত সড়ক ঘুরে স্কুল কলেজে যেতে হবে।

এছাড়াও ব্রীজের দুই পার্শ্বের সংযোগ পীলারের কাছে বড় ধরণের গর্ত দেখা গেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ব্রীজটি যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা আছে। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহেল রানা জানান, পাইলট স্কুল রাস্তাটি শুধু স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ নয় হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করে।

এলাকার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই রাস্তাটি। সুতরাং খুব দ্রুত রাস্তাটি চলাচল উপযোগি করা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরেরর মানুষ।