কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ১১টি ফেরি চলছে: ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ বেড়েছে

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে কম লোড নিয়ে কে-টাইপসহ ১১টি ছোট ফেরী দিয়ে হালকা যানবাহন পারাপার করানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ফলে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পরিবহনের যাত্রীদের পারাপার হতে দেখা গেছে। এছাড়াও ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে।

কাঠালবাড়ি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজধানীর সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমা লের নৌ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। গেল কয়েক সপ্তাহ নাব্য সংকটের কারণে এই রুটের ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেরি পারাপারে বিঘ্ন ঘটায় যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোর যাত্রীরা নৌপথের লঞ্চ ও স্পিডবোট যোগে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিতে যানবাহন কম লোড করতে পারার কারণে কয়েক’শ পণ্যবাহী ট্রাক এখনো ঘাটে আটকে আছে।

কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট কর্ত্তৃপক্ষ ও আটকে পড়া ট্রাকের চালকরা জানান, ঈদের যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৯ টি ড্রেজার দিয়ে দিনরাত খনন কাজ চলছে। এদিকে ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে ফেরা যাত্রী চাপ বেড়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে ড্রেজিং করার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বিকল্প চ্যানেল।

বিআইডব্লিউটিএ-এর কাঁঠালবাড়ি ঘাটের সহকারী ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, পদ্মায় নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কে-টাইপের ১১টি ফেরি দিয়ে ছোট এবং হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া ভারী যানবাহনগুলোকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত প্রায় ১২/১৩ দিন আগে লৌহজং চ্যানেল মুখে নব্য সংকট দেখা দেয়। তখন রোরো ও ডাম্প ফেরিগুলো শিমুলিয়া ও কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে নোঙ্গর করে রাখ হয়।

পরবর্তীতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। তখন ৩টি ফেরি শাহ পরান, এনায়েত পুরী ও শাহ মখদুম ওই রুটে অর্থাৎ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পাঠানো হয়। তাই ফেরি গুলো এখনো সেখান থেকে আনা হয় নাই। শিমুলিয়া ঘাটে দীর্ঘদিন নোঙ্গর করে রাখা ডাম্প ফেরি রানীক্ষেত শিমুলিয়া থেকে পরিবহন নিয়ে সকালে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছেছে। যদি কাঁঠালবাড়ি থেকে নির্বিঘ্নে শিমুলিয়া প্রান্তে যেতে পারে তাহলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া প্রান্তে যেই ফেরিগুলো পাঠানো হয়েছিল সেই তিনটি ফেরিকে রাতেই এই রুটে আনা হবে।

ফেরি ভাষা শহিদ বরকত চলে যাবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে। কিন্ত আাজ শনিবার পর্যন্ত কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে ওই ফেরি গুলো নিয়ে আসাবে বলে তিনি জানান। বিআইডব্লিউটিএ-এর ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (টিআই) আক্তার হোসেন জানান, নাব্য সংকটের ফেরি কম চলায় পরিবহনসহ সাধারণ যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপও বেড়েছে।