কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ফেরি চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে, এখনও ঘাটে আটকে আছে শত শত পন্যবাহী ট্রাক ও পরিবহন

মাদারীপুর প্রতিনিধি: কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় আটকে আছে বেশকিছু পন্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার ও পরিবহন। তবে কমেছে ফেরিতে যাত্রী পারাপারের চাপ। খুব দ্রুত ঘাটে আটকে পরা ট্রাকগুলো পারাপার করে ঘাটে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক করে তুলবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঘাট সূত্রে জানা যায়, নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে ব্যাহত হওয়ায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রী ও পরিবহন পারাপারে অনেকটা সমস্যা হয়। নাব্য সংকটের কারণে প্রায় ১৫ দিনের বেশি বন্ধ ছিল বেশিরভাগ ফেরি। ফেরি সংকটের কারণে ঘাট এলাকায় আটকে পড়ে কয়েকশত ট্রাক, বাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন পরিবহন। পদ্মা উত্তাল থাকায় ঈদের ছুটি শেষে বেশিরভাগ যাত্রীরা লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে পারাপারে ঝুঁকিতে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহন ও যাত্রী পারাপারে ঘাট কর্তৃপক্ষের অনেকটা বেগ পেতে হয়।

নতুন বিকল্প তৃতীয় চ্যানেল পরিক্ষামূলক চালু করলেও তাতে কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফেরি চলছে আগের পুরাতন নৌ চ্যানেল দিয়ে। যেখানে ড্রেজিং ছাড়াই ফেরি চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘাটের চিত্র অনেকটাই পাল্টে যায়। স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অর্ধেক পরিবহন নিয়ে পারাপার করতে দেখা গেছে ফেরিগুলোকে। বর্তমানে ১৭টির স্থলে ফেরি চলে মাত্র ১১/১২টি।

ঘাটে তেমন পরিবহন ও প্রাইভেটকারের চাপ দেখা যায়নি। তবে সপ্তাহ আগে পার হতে না পারা পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন ছিল। পরিবহন চালকদের দাবি রাত-দিন ফেরিগুলো স্বচল রাখলে ঘাটের অবস্থা আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৮৭টি ল ২শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে ও নাব্য সংকটের কারণে ১৭টি ফেরির মধ্যে বেশকিছু ফেরি বন্ধ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর কাঁঠালবাড়ি ঘাটের সহকারী ম্যানেজার শেখ রুহুল আমিন জানান, গেল কয়েক সপ্তাহ নাব্য সংকটে ফেরি পারাপারে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা আশা করছি খুবই দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।