কোরবানি উপলক্ষে গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত নন্দীগ্রামের খামারিরা

অদ্বৈত কুমার আকাশ, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহার বাঁকী আর মাত্র কয়েক দিন। তাই কোরবানির বাজার ধরতে গরুর শেষ সময়ের পরিচর্যাসহ মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার নন্দীগ্রামের অর্ধশত ক্ষুদ্র খামারিরা। গত বছরের চেয়ে গরুতে বেশি লাভ হবে এমনটি আশা করছেন এই উপজেলার গরুর খামারিরা।

কথা হয় উপজেলার কাথম গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি আলহাজ্ব বুলু মিয়ার সাথে তিনি বলেন, তাদের গ্রামে প্রায় ৫০ টি পরিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশী জাতের গরু পালন করছে। তিনি নিজেও পালন করছেন ৪ টি গরু। পৌর শহরের পূর্বপাড়ার আবুল কালাম জানান, গরু পালন তার নেশা। এবছর তিনি ৯ টি গরু পালন করেছেন।

ভুষি, চিটেগুড়, খুদকুড়া ও খৈলের দাম বৃদ্ধির পরও তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে গরু পালন করছেন। পরিবারে সবাই গরু পালনে সহায়তা করেন। তবে গরু মোটাতাজায় তারা কোনো ইনজেকশন ব্যবহার করেন না বলে দাবি করেন। এই উপজেলায় সরকারিভাবে বড় ধরনের কোনো খামার বা গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প না থাকলেও গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষগুলো বাড়তি লাভের আশায় কোরবানি ঈদের ৬ মাস আগে থেকেই গরু মোটাতাজা করণে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

আর এভাবেই উপজেলায় অর্ধশত ছোটবড় খামার গড়ে উঠেছে। উপজেলার থালতা মাজগ্রাম, কাথম, ভাদুম, পেংহাজারকি, আলাইপুর, ভাটরা, হাটুয়া, ইউসুবপুর, ডেরাহার, কদমা গ্রাম ঘুরে বেশকিছু মাঝারি খামার চোখে পড়ে। সম্পূর্ণ দেশি খাবার দিয়ে তাদের খামারের গরু মোটাতাজা করা হয়। ৬ মাস আগে খামারের প্রতিটি গরু ২৮ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় কেনা হয়।

ঈদ মৌসুমে প্রতিটি গরু ৬৫ হাজার থেকে লাখ টাকার উপরে বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেন। এদিকে পশুর বিভিন্ন রোগের জন্য খামারিরা সরকারি প্রাণী সম্পদ দপ্তরে বাব বার ঘুরেও টিকা বা ঔষুধ এবং সঠিক পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: শফিউল আলম বলেন, এই উপজেলায় ভাল ঘাস হয়।

তাই গরুর খামার করার এখানে যথেষ্ট সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। সবচে বড় কথা যারাই খামার করছেন, তারা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের নজরদারি ও খামারিরা সচেতন হওয়ায় এখন কেউ আর ইনজেকশন দেয় না।