গোপালগঞ্জে ট্রাফিক সপ্তাহের তৃতীয় দিনেও চলছে সর্বত্র অভিযান

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে ট্রাফিক সপ্তাহের তৃতীয় দিনে জেলার সর্বত্র অভিযান অব্যহত রয়েছে। অভিযান চলাকালে পুলিশ কোন তদবির বা সুপারিশ না রাখায় ট্রাফিক আইনের প্রতি জেলার যানবাহন মালিক ও চালকগন শ্রদ্ধাশীল হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মোটর-সাইকেল চালকরা বেশীর ভাগই রাস্থায় গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেনা। রিক্সা, ভ্যান ও বাসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করছেন।

জেলার বিআরটিএ অফিস ও সাধারন বীমা অফিসে লাইসেন্স ও ইন্সুরেন্স করার জন্য চালক ও মালিকেরা হুমড়ী খেয়ে পড়ছে। বুধবার পুলিশ লাইনে গিয়ে দেখা যায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইয়াকুব হোসেন, টিআই মোঃ জিয়াসহ পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের প্রায় ২০ জন জনবল যানবাহনে অভিযান পরিচালনা করছেন।

তারা ছাড় দিচ্ছেন না কাউকেই। তবে যার সকল প্রকার কাগজপত্র পাওয়া যায় তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে রজনীগন্ধার শুবেচ্ছা জানানো হচ্ছে।
বেলা ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স করতে আসা সদর উপজেলার কাঠি গ্রামে বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আবেদন করেছি বেশ কয়েকদিন হলো এখানে শুধু বিলম্ব হচ্ছে। এখানে অনেক চালক ভীড় জমিয়েছে। আবেদন গ্রহন করা হলেও অফিসটিতে পরিদর্শক না থাকায় কাউকেই শিক্ষানবীশ লাইসেন্স দেয়া হচ্ছেনা।

বুুধবার বেলা ১২ টার দিকে গোপালগঞ্জের মিয়াপাড়াস্থ সাধারন বীমা অফিসে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক যানবাহন মালিক ইন্সুরেন্স পাবার জন্য সেখানে ভীড় জমিয়েছে, কাশিয়ানি থেকে ইন্সুরেন্স করতে আসা ইয়াকুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আমার কাছ থেকে ফি জমা নিয়ে রশিদ দিয়েছে। কাউকেই ইন্সুরেন্স দেয়া হচ্ছেনা, এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেছে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সারা জেলায় আমাদের অভিযান চলছে, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছেনা এমনকি সরকারী গাড়িও না। অভিযান অব্যাহত থাকবে। আশা করছি গোপালগঞ্জের মানুষ ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হবে। আমরা আজ তৃতিয় দিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ টি মামলা দিয়েছি।