ঘরমুখো যাত্রীদের ভীড়ে বাড়তি ভাড়া আদায়

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ রবিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ ও স্পীডবোট হয়ে ঈদে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। তবে লঞ্চ ৩৫ টাকা ও স্পীডবোট ভাড়া দেড়শ টাকার স্থলে ২শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঢাকার সকল রুট থেকেই বাড়তি ভাড়া গুনে এসে ঘাট পার হয়েও বাড়তি ভাড়া গুনে দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌছতে হচ্ছে।

এদিকে নাব্যতা সংকটে প্রায় ১০ দিন অচল হয়ে পড়া এরুটে রবিবার সকাল থেকে ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে। এরআগে গত রাত ১০ টার পর এরুটের ৬টি ডাম্ব ফেরি বন্ধ করে দেয়া হলেও সকালে চালু হয়। ভোরে ঝড়ো হাওয়ার কারনে ২ ঘন্টা সকল ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ফেরিগুলো সম্পূর্ন লোড নিতে না পারায় ধারনক্ষমতার চেয়ে হালকা যানবাহন নিয়ে চলছে।

নৌরুটের লৌহজং টার্নিং থেকে পদ্মা সেতুর চ্যানেল পর্যন্ত নাব্যতা সংকটে ওয়ান ওয়ে হয়ে পড়ায় ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। ৭টি ড্রেজার ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফলে উভয় পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার করা হচ্ছে। এরুটের ৫ টি ফেরি অন্যত্র স্থানান্তর করায় সংকট বাড়ছেই।

বিআইডব্লিউটিএর টার্মিনাল ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, এ নৌরুট হয়ে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। ভরা বর্ষা চলায় কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত লঞ্চ বোঝাই হয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে দেয়া হবে না। ফেরি চলাচলে অগ্রগতি হওয়ায় যাত্রী চাপ বাড়লে ফেরিতে যাত্রী পারাপারে গুরুত্ব দেয়া হবে।