জমে উঠেছে ভোলায় কোরবানির পশুর হাট, দাম একটু বেশিই বলছেন ক্রেতারা

গোপাল চন্দ্র দে,ভোলা প্রতিনিধি: কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদে পশু কোরবানি দিতেই ভোলার বড় বড় গরুর হাটগুলো এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগমে মুখরিত। হাটগুলোতে বড় এবং মাঝারি সাইজের দেশী গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও দাম আকাশচুম্বি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। দাম চড়া থাকায় গরু কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় গরুর দাম দিগুণ বলে অভিযোগ অনেক ক্রেতাদের।

হাটঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবচেয়ে ছোট গুরু বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা, এরথেকে একটু বড় অর্থৎ মাঝারি সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজারে আর বড় সাইজের ১ লক্ষ থেকে উপরে। পশু খাদ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো গরু কিনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

ছাগলের বাজার কিছুটা বাড়লেও তা সাধ্যর মধ্যে আছে বলে জানায় আনেক ক্রেতা। তবে দু’একদিন পরেই সরবরাহ বেশি হলে দাম নেমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা। বিক্রেতারা বলছেন পশু খাদ্যের দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোলা সদরের ধনিয়া গোডাউন বাজারে গরুরহাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশীয় গরুর সমারোহ।

গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রির জন্য বড় ও মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। তবে বেশিরভাগ গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। ভোলার পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, হাটে নির্ভিঘ্নে ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে সহজেই কেনা-বেচা করতে পারেন সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়াও অনেক হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন দেয়া হয়েছে। হাট বাজার, ফেরি ও লঞ্চ ঘাটগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন পরে সরবরাহ বেড়ে গেলে গরুর দাম অনেকটা কমে যাবে এমন প্রত্যাশাই করছেন ক্রেতারা।