দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ শেষ হলে : তালুকদার আব্দুল খালেক

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস: অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ শেষ হলে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লায় খুলনা-মোংলা সড়কের পাশে খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জন্য নতুন করে অধিগ্রহণকৃত ৫২৯ একর জমি সিভিল এভিয়শেন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার দুপুরে নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দর এলাকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএবি’র কাছে অধিগ্রহণকৃত জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এই বিমান বন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হবে। শুধু রামপাল-বাগেরহাটবাসীর নয় খুলনা অঞ্চলের বিমান বন্দর হবে এটি। খানজাহান আলী বিমান বন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প।

পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার চেষ্টা করছে। তা না হলে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নেই দ্রুত সময়ের মধ্যে খানজাহান আলী বিমান বন্দরটি নির্মাণ করা হবে। এসময় অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে কোন ধরণের অনিয়ম রোধে জেলা প্রশাসককে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাগেরহাট ৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার হাবিবুন নাহার, সিএএবি এর অতিরিক্ত সচিব মোঃ হেমায়েত হোসেন, যুগ্ন সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, খানজাহান আলী বিমান বন্দর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শহীদুল আফরোজ, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, ওসি শেখ লুৎফর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকতারুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অধিগ্রহণকৃত জমির ২০ জন মালিককে তিপূরণের চেক প্রদান করা হয়। বিমান বন্দরটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।