নরসিংদীতে ডাকাতি মামলার পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসে ডিবি পুলিশের হেফাজতে আসামীর মৃত্যুর খবর

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে স্বর্ণের বারকে কেন্দ্র করে পুলিশের মধ্যে চলছে রেশারেশি। আর এরই কারণে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সম্প্রীতি সময়ে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার ৪ পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন ও আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম দের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত সাজানো ডাকাতি মামলা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে এই ডাকাতি মামলার ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, নরসিংদী তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রূপম কুমারের নিকট ঘটনার সময়কালীন তার মোবাইলের কললিস্ট চাইলে দীর্ঘ দিন পার হলেও সে কোন কললিস্ট আদালতকে দিতে পারে নি।

পক্ষান্তরে ৪ পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন ও আজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম দের ঘটনা সংক্রান্ত কললিস্ট মাত্র ২ দিনের মধ্যেই আদালতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ঘটনার প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার তদন্তকারী অফিসার তার কোন কল লিস্ট আদালতে উপস্থাপন করতে পারে নি।

অন্যদিকে এই চা ল্যকর ডাকাতি মামলার এক গোপন রহস্য বেরিয়ে আসল। এই ডাকাতি মামলার বাদী মোঃ শাহজাহান মিয়া (২২), পিতা- মোঃ ইদ্রিস মিয়া নিজেই কিছু জানে না বলে গনমাধ্যমকর্মীদের জানান। উক্ত ডাকাতি মামলা সম্পর্কে মামলার বাদী শাহজাহান মিয়াকে গনমাধ্যম কর্মীরা জিজ্ঞাসা করলে, সে মামলা সম্পর্কেই কিছু জানে বলে একটি হাস্যকর তথ্য প্রদান করে। মামলার বাদী ডিবি পুলিশের ভয়ে ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও ক্যামেরার অন্তরালে গিয়ে তিনি জানান যে, ডিবির এসআই গাফ্ফারের সাজানো মামলার ফাঁদে পড়েছে, এই ৪ পুলিশ কমকর্তা।

নরসিংদী পুলিশ সদর দফতরের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ডিবির এসআই গাফ্ফার তার টিমকে নিয়ে সহজ, সরল, মানুষকে ধরে এনে টাকার জন্য অমানসিক নির্যাতন সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিচ্ছে। তেমনই সম্প্রীতি সময়ে ভেলানগর এলাকায় থাকা এক বৃদ্ধ মহিলার সন্তান দ্বীন ইসলাম দিনাকে সারা রাত অমানসিক নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতাল নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে উক্ত ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের একটি লেনদেন হয়। এলাকাবাসী ও দ্বীন ইসলাম দীনার মা তার মৃত সন্তানের লাস নিয়ে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই ডিবি পুলিশ টাকা -পয়সার মাধ্যমে বিষয় টি দামা-চাপা দিয়ে দেয় বলে জানায় এলাকাবাসী।

এরকম আরো অনেক ঘটনার অভিযোগ জমে আছে এই এসআই এর বিরুদ্ধে। স্বর্ণের বারকে কেন্দ্র করে সদ্য ঘটে যাওয়া ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলার বিভিন্ন তথ্য উৎঘাটন করতে গেলেই বিভিন্ন দপ্তরে এই এসআই গাফফারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহার থাকলেও নিচ্ছে না ব্যবস্থা। তার কারনে পার পেয়ে যাচ্ছে এ ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা। এ সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের কারনে নেতিবাচক প্রভাব পরছে পুরো পুলিশ বহিনীর উপর, মনে করেন বিশেজ্ঞরা।

এদিকে এডভোকেট হাসিবুর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এসকল কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা টাকার কারনে প্রায়ই অপ্রত্যাসিত কিছু ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই এখনি সময় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ এসকল বিষয়ে নজরদারী দেয়া এবং বিভাগীয় ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তবেই পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। এ কর্মর্তার দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ঘটনার বিষয়ে আরো জানতে আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন।