নৃ-গোষ্ঠির সন্তান সন্তানীদের জন্য কোথাও লেখা নেই পদস্থ কর্মকর্তা বা এমপি মন্ত্রি হতে পারবে না -জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল

জয়নাল আবেদী,বাগআঁচড়া (যশোর) সংবাদদাতা: বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেছেন নৃগোষ্ঠির সন্তান সন্তানিদের জন্য কোথাও লেখা নেই পদস্থ কর্মকর্তা বা এমপি মন্ত্রি হতে পারবে না। সেজন্য সবাইকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে হবে না। সকলকে প্রকাশ্যে স্বপ্ন দেখে তা অর্জন করতে হবে। যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বপ্নদ্রষ্টা কালজয়ী মহাপুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লগি বৈঠা ও লাঠি সোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। বিজয় পতাকা ছিনিয়ে এনে বাংলাদেশকে লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছিল। দেশ হয়েছিল পরাধীন মুক্ত। নৃগোষ্ঠি তারা আমাদেরই সন্তান। তাদেরকে খাটো করে দেখার কিছুই নেই। অভিভাবক ও মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন মেয়ে বলে অবহেলা না করে তাদেরকে বাল্য বিবাহ না দিয়ে লেখাপাড়া শিখিয়ে বড় বড় পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যাতে চাকুরী পায় সে জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহব্বান জানান।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রধান মন্ত্রির কার্যালয় হতে নৃগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে গৃহিত বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে শার্শা আদিবাসী সমাজ কল্যান সমিতির সদস্যদের অনুকূলে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় শার্শার আদীবাসি সম্প্রাদয়ের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরন বিতরন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল প্রধান অতিথির বক্তব্যে আদিবাসীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন এসডিজি অর্জনে সমাজের পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠি কে এক সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জন হবে। এসময় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮ সৃজনশীল মেধা অর্জনে বিজয়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন মেধাবী ও মেধাহীন বলে কোন তফাত নেই। কেহ অধিক সময় পড়ালেখা করেছে কেহ কম সময় পড়ালেখা করেছে। এজন্যই প্রতিযোগীতার মন নিয়ে লেখাপড়া করলে মেধাবী নিশ্চিত হবে। তাছাড়া সবাইকে মেধাবী হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে।

প্রতিযোগীতা মূলক লেখাপড়া করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, আদিবাসীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তপন কুমান সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আগে উপজেলার পুুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত, ডিজিটাল হাজিরা উদ্বোধন ও সেলাই ম্যাশিন প্রশিক্ষন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে ২৪৬ জন আদীবাসী সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, ১০০ জনকে শিক্ষা উপকরন প্রদান, ২০ জন সেলাইম্যাশিন প্রশিক্ষানার্থীকে নগদ অর্থ, ১২ জন শৃজনশীল মেধা অর্জন বিজয়ীদের নগদ অর্থ এবং সনদ পত্র বিতরণ ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ট শ্রেণী শিক্ষককে ক্রেস্ট প্রদান করেন।