বড়াইগ্রামে ভিজিএফ কর্মসূচীর তিন ট্রাক পঁচা চাউল ফিরিয়ে দিলেন এমপি

শাহিনুর রহমান নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়াস্থ সরকারী খাদ্য গোডাউন থেকে ভার্ন্যারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচীতে খাওয়ার অনুপোযোগী তিন ট্রাক পঁচা চাউল বিতরণের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ করার চেষ্টা করলে এতে বাঁধা প্রদান করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।

রবিবার সকালে তিনি সরেজমিনে বনপাড়া খাদ্য গোডাউনে ভিজিএফ এর জন্য নির্ধারিত চাউলের মান পর্যবেক্ষণকালে পাবনার মুলাডুলি সরকারী গোডাউন থেকে আসা নষ্ট হওয়া তিনটি ট্রাকের ৪৮ টন চাউলের সন্ধান পান। পরে তিনি সেই ট্রাকসহ চাউল মুলাডুলি গোডাউনে ফেরত পাঠান এবং পাশাপাশি অফিসিয়াল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চাউলগুলো ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করেন।

অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগে দরিদ্রদের জন্য পরিবার প্রতি বিনামূল্যে ২০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাউল প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এ চাউল যদি খাওয়ার অনুপোযোগী হয় তবে তা হতো অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়। সঠিক ওজনে চাউল প্রদান ও চাউলের মান ঠিক আছে কিনা তা গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এ চাউল বিতরণে কেউ দুর্নীতি করলে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি সতর্ক বার্তা প্রদান করেন।

এদিকে খাওয়ার অনুপোযোগী চাউল কেন বনপাড়া খাদ্য গুদাম পর্যন্ত এসেছে জানতে চাইলে গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, ‘ফাস্ট ইন, ফাস্ট আউট’ সিস্টেমে মুলাডুলি খাদ্য গোডাউন থেকে এই চাউল এসেছে। মূলত ৮ মাস আগে আমন মৌসুমে সংরক্ষণ করা চাউল এগুলো। মুলাডুলি খাদ্য গোডাউনে রাজশাহী অঞ্চলের ৮টি জেলার চাউল সংরক্ষণ করা হয়। এ গুলো কোন এলাকার চাউল এটা ওই গোডাউন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

মুলাডুলি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, আমি এক মাস হলো এই খাদ্য গোডাউনে যোগদান করেছি। এর আগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাকরী থেকে অবসরে গেছেন। তবে কোয়ালিটি পরীক্ষা না করে গোডাউন থেকে চাউল সরবরাহ করা ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

পরে বড়াইগ্রাম পৌরচত্বরে এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিজিএফ কার্ডধারী ৩০৮১ পরিবারের মধ্যে মাথাপিছু ২০ কেজি করে চাউল বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন।