রৌমারীতে নিরীহ ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশের হামলা ভাংচুর

রাজীবপুর ও রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী থানা পুলিশ বিনাকারনে সুরুজ্জামান নামের এক নিরীহ ব্যক্তির বাড়িতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ঘরে ঢুকে তল্লাসি ও আসবাবপত্র তছনছ শুরু করে। কারন জানতে চাইলে পুলিশ ওই বাড়ির গৃহবধুকেও চড়থাপ্পর মেরে ঘরে থাকা একটা মোটরসাইকেল নিয়ে যায় পুলিশ। সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন সুরুজ্জামান নামের ছ’মিল ব্যবসায়ি।

শুক্রবার দিবাগত ভোররাতের দিকে উপজেলার ধনারচর চরের গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। সুরুজ্জামান এর অভিযোগে জানা গেছে, ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিনাকারনে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। ওই বাড়ির মালিক সুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম আমাকে বিনাকারনে নির্যাতন করেছে। তার নানা অপকর্ম ও নিরীহ মানুষকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ আটক বাণিজ্যের চিত্র তুলে গত মে মাসে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

এরপর থেকে ওসি আমার ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে আসছে। মূলত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কারনেই পুলিশ বিনা কারনে আমার বাড়িতে তল্লাসির নামে হামলা চালিয়েছে আমার স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলের বউ আকতারা খাতুনকে মারপিটও করেছে। ঘর থেকে পুলিশ আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। ওই রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না।’

পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধু রাশেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ছ’মিল ব্যবসায়ি। জীবনেও মাদক ব্যবসা করেনি। আর পুলিশ ঘরে মাদক আছে বলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে। কারন জানতে চাইলে পুলিশ আমাকে এবং আমার ছেলের বউকে মারপিট করে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও সংশ্লিষ্ট এলাকা যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরবেশ আলী জানান, আমরাও শুনেছি যে পুলিশ বিনাকারনে সুরুজ্জামানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে।

পুলিশ যদি জনগনের বন্ধু হয় তাহলে এ ধরনের পুলিশকে কি বলব তা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। তাকে খোঁজার জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু তাকে পাইনি। ঘরের দরজা ভাংচুর ও বাড়ির লোকজনকে মারপিটের ঘটনা একেবারেই মিথ্যা। ঘর থেকে যে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা হয়েছিল সেটা ফেরত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।