শ্রীমঙ্গলে বেড়ে চলেছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ মানুষ

তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দিন দিন বেড়ে চলেছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। হাতি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা । হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি যেন শ্রীমঙ্গলে এখন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। কিছুতেই কমছে না হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম। প্রতিদিনই শ্রীমঙ্গলের কোনো না কোনো এলাকায় চোখে পড়ছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য।

নতুন এই চাঁদাবাজি কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শহরবাসী। হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে চাঁদাবাজি। যত্রতত্র হাতি দাঁড় করিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতি শুঁড় দিয়ে এমনভাবে মানুষ ও যানবাহন আটক করছে যে ভুক্তভোগী ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

শ্রীমঙ্গল শহরে কেনাকাটা করতে আসা জাহিদ আহমেদ জানান, তিনি হাতিকে ১০ টাকা করে দিয়েছেন। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না। ১০ টাকা দিলে হাতিটি পিঠে বসে থাকা মাহুদকে শুঁড় উঁচিয়ে টাকা দিয়ে দেয়। যা চাঁদাবাজির শামিল।

এদিকে, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে নিস্তার নেই পথযাত্রীদের। আবার হাতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। পথচারীদের কেউ কেউ হাতির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। হাতির কারণে বিভিন্ন ভোগান্তিরও শিকার হচ্ছেন শ্রীমঙ্গলবাসী। রোববার সকালে শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ চোখে পড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। দেখা যায়, হবিগঞ্জ রোডে দুটি বিশাল আকৃতির হাতি।

হাতির উপর এক জন লোক বসে আছেন। হাতি দাড়ঁ করিয়ে দোকান বা গাড়ি থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করছে। সাধারন মানুষ, পথচারী ও ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যায় হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে ও প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করে। চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম থেকে বাদ পড়ছে না ফুটপাতের সামান্য আয়ের ব্যবসায়ীরাও।

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. রশিদ নামের একজন পথচারী বলেন, প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখছি। এটা তো এক ধরণের চাঁদাবাজি। এটা কি দেখার কেউ নেই। গাড়ি আটকিয়ে টাকা নিচ্ছে এরা তো একধরণের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কেউ তাদের কিছু বলতে পারছে না।

পরিবহন চালকরা জানান আমরা সড়কে গাড়ি নিয়ে শহরের ভিতরে ঢুকার আগেই রাস্তায় হাতি গাড়িরর সামনে এসে দাড়িঁয়ে শুর এগিয়ে দেয় টাকা না দিলে সামনে থেকে সড়ে না। বাধ্য হয়ে আমরা ১০ থেকে ২০ টাকা দিতে হয়। প্রায়ই আমরা এ ভোগান্তিতে থাকি। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে যদি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলে আমরা সকলে উপকৃত হবো।