পিরোজপুরে শুরু হলো ‘ওমর ফারুকের মা’ এর নির্মাণ কাজ

পিরোজপুর প্রতিনিধি: ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’ এর নির্মাণ কাজ পিরোজপুরে শুরু হয়েছে। শনিবার পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে এ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং পিরোজপুরের বিভিন্ন স্থানে এ চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ চলবে বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা এম এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ঘটনার ছায়া অবলম্বনে এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কাহিনীকার মাসুম রেজা। পিরোজপুরের জেলার আমড়াঝুড়ি কাউখালী উপজেলার আশোয়া আমড়াঝুড়ি নামক স্থানের একজন মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক আর তার মায়ের গল্পে নির্মিত হবে চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা এম এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব জানান, চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ওমর ফারুকের মায়ের ভূমিকায় দিলারা জামান, ৭১-এ শহীদ ওমর ফারুকের ভূমিকায় কাজ করছেন সাঈদ বাবু।

এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলিতে অভিনয় করছেন বন্যা মির্জা- সাহেদ শরীফ খান, খাইরুল আলম সবুজ, নাজনীন হাসান চুমকি, সালমা রহমান, আইনুন পুতুল, রিপন চৌধুরী, কাজী রাজু, সৈয়দ শুভ্র, মুকুল সিরাজ, এ বি এম মোতাহারুল ইসলাম, প্রণব ঘোষ, রোশেন শরিফ ও তুহিন আহমেদ সহ আরো অনেকে।

চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে, ওমর ফারুক তখন ২১ বছরের তরুণ, ছিলেন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি। যুদ্ধের সময় এক রাতে মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, রাতে ফিরে মায়ের হাতে ভাত খাবেন। ওমর ফারুকের আর ফেরা হয়নি। সেই রাতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তার কাছে বাংলাদেশের সাতটি পতাকা পায় পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয় ফারুকের।

হাতুড়ি পেটা করে একটি পতাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার মাথায়। শহীদ ওমর ফারুকের লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় কীর্তনখোলার জলে। এরপর ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ওমর ফারুকের মায়ের অপেক্ষা। মা আজও ছেলের অপেক্ষায় তিনবেলা হাড়িতে ভাত বসান, রাতে সদর দরজা খোলা রাখেন ছেলের অপেক্ষায়; ছেলে আসবে সেই বিশ্বাসে।