খাগড়াছড়ি পৌরসভার আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে চৌত্রিশ পরিবারের স্বপ্নযাত্রা

আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পৌরসভার আবাসন প্রকল্প। বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম খাগড়াছড়ি পৌরসভার উদ্যোগে ভূমিহীন,বিধবা,অসহায় ৩৪ পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামোগত উন্নতিকরণ প্রকল্পের কাজ। ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৮১ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ প্রকল্পের ৯৫% কাজ সম্পুন্ন হয়ে ইতিমধ্যেই।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কুমিল্লা টিলায় ১ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত আবাসন প্রকল্পে পৌর এলাকার ভূমিহীন, বিধবা, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যাক্তারা এ আশ্রয়াণ প্রকল্পের আওতায় সুভিধা পাবে। এ আশ্রয় প্রকল্পে রয়েছে, প্রতি পরিবারের জন্য ২টি বেডরুম, ১টি ড্রয়িং রুম কাম ডাইনিং (লিভিং স্পেস), ১টি বাথরুম কাম টয়লেট, ১টি বারান্দা এবং বাড়ী সংলগ্ন ভেজিটেবল গার্ডেন।

রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য আলাদা আলাদা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ৫শ লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্যাংক, প্রতি পরিবারের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে থাকছে মানসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থাও। এছাড়াও ৩৪ পরিবারের জন্য রয়েছে পরিকল্পিত ওয়াটার বডি, ১টি কমিউনিটি হল ও বনায়ন ব্যবস্থা। এতে আবাসন প্রকল্পে পানি নিস্কাসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, আলোকিতকরণের লক্ষে ৩টি সোলার লাইট সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয় কুমিল্লাটিলার বাসিন্দা কালা মিয়া ও খোদেজা বেগম বলেন, খাগড়াছড়িতে এ ধরণের উদ্যোগ এ প্রথম। আগের কোন মেয়র সাধারণ অসহায় মানুষদের জন্য এভাবে ভাবেনি। আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৩৪টি অসহায় পরিবার তাদের জীবন চলার স্বপ্ন পুরণে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।

পরিকল্পিত পৌরসভা উন্নয়ন কাজের লক্ষে ৯টি ওয়ার্ডে চলছে সড়ক উন্নয়ন, রাস্তা প্রসস্তকরণ, লাইটিং ব্যবস্থা, পানি সববরাহ, বস্তি উন্নয়ন, পর্যটকদের থাকার সুভিধাত্বে পৌর রেষ্ট হাউজসহ নানামূখী উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে পৌর আধুনিক বাস টার্মিনাল এর জন্যও কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো: রফিকুল আলম। এছাড়াও চলামান কাজের সমাপ্তি হলে খাগড়াছড়ির পৌরসভার দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে বলে তিনি জানান।

আবাসন (আশ্রয়) প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভাকে একটি আধুনিক পর্যটনমূখী পরিকল্পিত পৌরসভায় রুপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় ভূমিহীন, বিধবা, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যাক্তারা এ আশ্রয়াণ প্রকল্পের আওতায় সুভিধা পাবে। সর্বোচ্চ নাগরিক সুভিধা দিয়ে আগামীতেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৮১ টাকা ব্যায়ে নির্মিত তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামোগত উন্নতিকরণ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫% সম্পন্ন হয়েছে। বাকী উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঐ এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।