গোপালগঞ্জে পৃথসড়ক ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৬০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও সদরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে মনোয়ারা বেগম (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে মুকসুদপুরের বাটিকামারী ও সদর উপজেলার ভোজেরগাতি এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে মুকসুদপুরের বরইতলা থেকে মুকসুদপুর সদরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মা-বাবার দোয়া নামের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস (ঢাকা মেট্রো চ-৮২২৬)। বাসটি বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচা গ্রামের শিশুতলা মোড়ে একটি অটোভ্যানকে সাইড দিতে যায়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হন।

পরে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মনোয়ারা বেগমকে (৫০) মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মনোয়ারা বেগম দিগনগর ইউনিয়নের বিশ্বম্ভরদী গ্রামের ক্দ্দুস মিয়ার স্ত্রী। গুরুতর আহত শাহিনা বেগম (৪৫), শেফালী বেগম (৫০), আকমাল শেখ (৬৫), রফিক (৩০), আরিফ (৩৫), আলিম মাতুব্বরকে (৪০) মুকসুদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, লোকাল বাসটি অটোভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে বাসের ভিতরের যাত্রীদের একজন নিহত হন। বাকিরা গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সদরের ভোজেরগাতিতে একটি যাত্রীবহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

যাদের কয়েকজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় কেউ নিহত হননি তবে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে তিনি জানান।