জাম্বুরি পার্ক যেন দুদিনেই গ্রামের পঁচা পুকুর

জে.জাহেদ ,চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ উপরের ছবিটি চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদে উন্মুক্ত হওয়া সেই জাম্বুরা পার্কের। মাত্র দুদিনের মাথায় মন্ত্রীর অনুরোধ ও জলে। রাখলনা কোন কথা সাধারণ দর্শনার্থী কিংবা পার্কে ঘুরতে আসা কপোত কপোতীর দল। লেকের পানিতে ভাসছে চিপসের খালি প্যাকেট, পানির বোতল ও এনার্জি ড্রিংকের ক্যানসহ প্রচুর ময়লা-আবর্জনা। আর পানিতে দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে, সাতার কাটছে কিছু ছেলে। যেন মদন ঘাটের গ্রাম্য কোন পুকুর।

এরই মধ্যে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য লাগানো বেশ কিছু গাছ ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। দৃষ্টিনন্দন দুই ফোয়ারার লেকের পানিতেও নানা রকমের আবর্জনা ভাসছে। পার্কেও ভেতর বিশ্রামের জায়গাগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা। সেখানে বসার কোনো পরিবেশ নেই। মাত্র দুদিন আগে আগ্রাবাদের যে জাম্বুরি পার্কটি নাগরিকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। নগর পরিকল্পনাবিদ ও সচেতন নাগরিকরা সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করা ও প্রয়োজনে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথাও বলেছেন।

শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাম্বুরি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে পার্কটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বারবার অনুরোধ জানান। কিন্তু কেউই মানছেন না তার সে অনুরোধ। সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি তদারকি ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে জাম্বুরি পার্কের এমন বেহাল অবস্থা বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পার্কের পরিবেশ রক্ষা করার তাগিদ দেন তারা।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, সচেতনতার অভাবে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। খুব শিগগিরই পার্কের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসবে বলে জানান। পার্কে বেড়াতে আসা কামরুল হাসান বলেন, এত সুন্দর একটি পার্কে এসেই এ অবস্থা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। পার্কটিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা অভাব রয়েছে। যে কারণে পার্কেও ভেতর যেখানে সেখানে ময়লা ফেলছে দর্শনার্থীরা। এর জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর হতে হবে।

আর সরাসরি উন্মুক্ত করে দেয়ায় যে কেউ ঢুকে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করছে। তাই প্রয়োজনে টিকেটের ব্যবস্থা করা দরকার। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভালো থাকার, সুন্দর থাকার সুযোগ বোধ হয় আমাদের নেই। পার্কে প্রবেশের জন্য প্রবেশ মূল্য এবং কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধিনিষেধ এবং নজরদারির দরকার আছে। তা নাহলে এটি ডাস্টবিনে পরিণত হতে খুব বেশিদিন লাগবে না।