ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে

মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং খিদোরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলী অরফে দুলালের বখাটে ছেলে সেলিম (২২) একই গ্রামের এক দিনমুজুরের শিশু কন্যা ও চিলারং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর (১৪) সাথে অবৈধ ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে। বখাটে সেলিম প্রায় সময় রাস্তা-ঘাটে স্কুলছাত্রীকে দেখা করে দৈহিক মিলা মিশার কু-প্রস্তব দিতে থাকলে তাকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করলে তাকে বিভিন্নরুপ হুমকী প্রদান করলে বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে জানাজানি হয়।

এক পর্যায়ে ২ মে রবিবার দুপুরে নাবালিকা কিশোরী ছাত্রী বিদ্যালয় হতে বাড়ী ফেরার পথে বাড়ীর অদুরে ২শ’ গজ দুরে পৌছালে পূর্ব হতে অপেক্ষায় থাকা বখাটে সেলিম, আরিফ হোসেন, সিদ্দিকুলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন মিলে স্কুলছাত্রীকে আটক করে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে মুখে পড়নের ওরনা বেঁধে দিয়ে তাকে পাজা কোলা করে মটরসাইকেল যোগে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় স্কুলছাত্রীর মা সফরা বেগম দেখতে পেয়ে বখাটেদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে এসময় তাকেও হত্যার জন্য হুমকি দেয়। বখাটে সেলিম ও অপরাপর ব্যক্তিদের সহযোগিতায় নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরন করে বিভিন্ন জায়গায় আটক রাখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।

স্কুল ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আটক রাখার পর ২০ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২ টায় অপহিৃতা নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে সু কৌশলে তার বাড়ীতে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার অভিভাবক ঘটনার কথা বিস্তারিত শোনে আইনের আশ্রয় গ্রহনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে বখাটে সোহেল তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর নিকট হতে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।

পরবর্তিতে বখাটে সোহেল ও তার সহযোগিরা আপোষের নিমিত্তে স্কুলছাত্রীর ভিক্টিমের পরিবারের কাছে সময় ক্ষেপন করে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় স্কুলছাত্রী ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক সেলিম, আরিফ হোসেন, আব্দুল আলী, মানিক সিদ্দিকুল সহ ৫ জনকে আসামী করে ১ আগষ্ট ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি থানায় মামলা হিসেবে রুজু না করায় ৮ আগষ্ট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মামলাটি ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে থানায় মামলা হিসাবে রুজু করার আদেশ দেয়।

মামলার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্তকারী অফিসার ইনচার্জ কফিল উদ্দিন ভিক্টিমের ২২ ধারা জবানবন্ধি এযাবত গ্রহণ না করায় মামলাটির ধিরগতিতে চলছে। এদিকে মামলার বাদি অভিযোগ করে বলেন মামলা দায়েরের ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলে তদন্তকারী অফিসার মামলাটি এযাবত কোন অগ্রগতি না করতে পেরে বাদী মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলির জন্য জোর আবেদন করেন।

অপরদিকে ৭ নং চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিষয়টি আপোষ মিমাংসার নিমিত্তে সময় ক্ষেপন করে। মামলার বিবাদীরা বর্তমানে বাদীপক্ষের লোকজনকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রাখায় ভিক্টিমের পরিবারের লোকজন চরম ভাবে ভৃত সম্ভতর মধ্যেদিয়ে দিন যাপন করছে।