তজুমদ্দিনের জনগনের সাথে তামাশা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ, দেখার নেই কেউ

মোঃ তন্ময়, তজুমদ্দিন ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা বিশিষ্ট যা ৫০ শয্যা উন্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার ছাড়াই চলছে হাসপাতাল। দৈনিক জাতীয় হতে শুরু করে অনলাইন পোর্টালে অনেক বার নিউজ হলেও এই এলাহি কার্ড কারখানা থেকে পরিন্ত্রান মিলেনি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের ব্যাপক ভীড়। কোথাও কোন ডাক্তার নেই। সব রোগী একসাথে ভীর করছে জরুরী বিভাগ ১১ কক্ষের সামনে। স্বাস্থ্য সহকারি (স্যাকমো) ডাক্তার বিটন চন্দ্র কর জরুরি বিভাগের কক্ষে বসে বহিঃবিভাগের রোগীদের সামাল দিচ্ছন। স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা পালন করছেন প্রশাসনিক দায়িত্ব।

৯ নম্বর কক্ষে বসে রোগী স্লীপ দেখে বুজ দিতেন সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডাক্তার ফখরুল ইসলাম। তাকেও বদলি করে নেয়া হয়েছে চরফ্যাশন। তিনিও প্রস্তুতি নিচ্ছেন চলে যাওয়ার। ধার করা ডাক্তার মমিনুল ইসলাম গেছেন ছুটিতে। তজুমদ্দিন হাসপাতালে কাগজে কর্মরত ডাক্তার আবদুল্যাহ আল মামুন প্রেষনে রয়েছে লালমোহন। আরেক জন ডাক্তারকে তজুমদ্দিনে কর্মরত দেখিয়ে রেখেছেন বোরহানউদ্দিন।

অথচ তজুমদ্দিন হাসপাতালে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না রোগীরা। হাসপাতালে নতুন ডাক্তার না দিয়ে চলতি মাসে বদলি করে নিয়ে গেছেন ডাক্তার মুজাহিদুল ইসলাম কে। আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন রোগী আসে প্রায় তিন শতাধিক। ২৪ ঘন্টা খোলা জরুরী বিভাগ বেসামাল অবস্থা। অন্তঃসত্ত্বা সহ মহিলা রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে।

সামান্য সমস্যাতেও যে কোন রোগীকে রেফার করা হয় ভোলায়। এক কথায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। জনগণ বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ কেন এই তামাশা করছে তজুমদ্দিনের মানুষের সাথে।