তারুণ্যের জয়ধ্বনি সর্বত্রই। তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তরুণদের সংঘবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পজিটিভ কিছু করার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ আছে। এতে নিজেকে ভালো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।দেশের প্রথম শ্রেণির ক্যাবল কোম্পানিগুলোর মধ্যে আরআর কেবলস লিমিটেড অন্যতম। আশফাকুর রহমান আর আর কেবলসের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তার কাজ নিয়ে মতবিনিময় করেন। যেখানে উঠে আসে তারুণ্যের এগিয়ে যাওয়ার নানান গল্প।
আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মর অনেক স্বপ্ন আছে। একজন তরুণ কি ভাবে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে? জানতে চাইলে আশফাকুর রহমান বলেন, ”স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশায় মানুষকে ঘুমাতে দেয় না”। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের তাড়নায় ঘুমাতে দেয় না সেটিই প্রকৃত স্বপ্ন। এমন স্বপ্ন দেখুন, যেটা বাস্তবায়নের তাড়নায় ঘুমাতে দেয় না। যে কোন কিছু করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে। সাধারন জ্ঞান থাকতে হবে। স্বপ্ন দেখার জন্য শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটাই করবে না কেন সততার সাথে করতে হবে। সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকতে হবে। সফল হবে কিনা জানি না তবে যেটাই করবে না কেন মনোযোগ দিয়ে করবে। আমি বেশ কয়েকটি ব্যবসা করেছি কিন্তু সেগুলো পেশা হিসেবে নিতে পারেনি। তবে কেবলস ব্যবসা পেশা হিসেবে নিয়েছি। যে কোনো ব্যবসা করার আগে ঐ ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। একদিনে সম্ভবও না। পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা করে কাজে অগ্রসর হতে হবে। ধৈর্য্য নিয়ে লেগে থাকাটা সঠিক সিদ্ধান্ত। গুনগত মানসম্মত পণ্য বাজারজাত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।
ছাত্র জীবনে প্রতিটি ছাত্র–ছাত্রীর কোন কোন বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার বলে আপনি মনে করেন? যে জিনিসটি পড়বে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমরা যাই করি না কেন মুখস্ত না করে বুঝেশুনে পড়তে হবে। মুখস্ত করে পাশ করবে কিন্তু জীবন পরীক্ষায় পাশ করবে না। মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যত চিন্তা না করে কাজ করি। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কিছু করি না।
তরুণরা ক্যারিয়ারের শুরুতে কোন ভুলগুলো করে থাকে বলে মনে করেন? ক্যারিয়ারের শুরুতে তরুণরা যে ভুলগুলো করে অতিরিক্ত প্রত্যাশা। উচ্চ আকাঙ্খা। শহর কেন্দ্রিক কাজ করতে চায়। কষ্ট করতে চায় না। প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। শেখার ইচ্ছে থাকতে হবে। প্রতিটি কাজ ভালো ভাবে করতে হবে। কাজ সম্পর্কে গবেষনা করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। প্রতিনিয়ত নতুন জিনিস নিতে হবে এবং দিতে হবে। যেখানে কাজ করবে তার প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে। ভালোবেসে কাজটি করতে হবে। সুসম্পর্ক থাকতে হবে সবার সাথে তাহলে কাজটি সুন্দর ভাবে করতে পারবে। তরুণদেরকে সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের চিন্তাধারাও পরিবর্তন করতে হবে।