নওগাঁয় আউশ ধান চাষ করে লোকসানের মুখে চাষিরা

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আউশ (বর্ষালী) ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। তাড়াহুড়ো করে আমন ধান লাগানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিঘা প্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে করে আগামী আউশ ধান আবাদে আগ্রহ হারাতে পারে কৃষকরা।

জানা গেছে, এবছর উপজেলার প্রায় ৩হাজার ২শত ২০হেক্টর জমিতে আউশ (বর্ষালী) ধানের আবাদ করা হয়েছিলো। ধান রোপনের শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ধানের গাছ দুবর্ল হয়ে পড়ে। এবছর আউশ ধান বিঘা প্রতি ১২থেকে ১৪মন হারে ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়ে থাকে ৭হাজার থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত।

গত বছরের চেয়ে এবছর ২থেকে ৩শত টাকা কম দামে ধান বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শুরুতেই প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে। ফলে উৎপাদন খরচ এবং ধানের ফলন বিপর্যয়ের কারণে বিঘা প্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলার বেলাঘড়িযা গ্রামের কৃষক মো: হাসান আলী, এরশাদসহ অনেকেই জানান, এবছর আউশ ধানের ফলন প্রতি বিঘায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ হারে হচ্ছে। ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। ধানের দাম না থাকার কারনে বাজারে ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে ধান বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লোকসান হবে আমাদের।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, এবছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার কিছু নিমা ল ভারী বর্ষনের কারণে প্লাবিত হওয়ায় ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলনের তেমন কোন তারতম্য হয়নি। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা কিছুটা লোকসানের মুখে পড়েছে।