নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে পুড়িয়ে হত্যা, বলে গেছে ঘাতকদের নাম

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা, মোঃ রাব্বী সরকার: নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় সুমন (৩৫) নামের এক ট ব্যবসায়ীকে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টায় উল্লেখিত এলাকায় হাবিব মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এরপর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে থেকে চিকিৎসকরে পরার্মশ অনুযায়ী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে শনিবার ভোর ৫ টায় সুমন সে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। তবে সে মৃত্যুর আগে জড়িতদের ঘটনার বর্ননা সহ বলে গেছে ঘাতকদের নাম। পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিহত ঝুট ব্যবসায়ী সুমন পাওনা টাকা চাওয়ায় পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার করা হয়। ঝুট ব্যবসায়ী সুমন মাসদাইর পাকাপুল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। সুমনের সিয়াম নামে ৯ বছরের সন্তান রয়েছে। এছাড়াও নিহতের সুমনের স্ত্রী বর্তমানে ৫ মাসের অন্ত:স্বত্তা।

এদিকে সুমনকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সুমনের পরিবারের সদস্যরা সুমনের জবানবন্দি মূলক একটি ভিডিও ফুটেজ ধারন করে। ভিডিও ফুটেজে ছোট ভাই সুমনকে জিজ্ঞেস করে কে কে মিলে তার শরীরে আগন ধরিয়ে দেয়। ছোট ভাইয়ের এই প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, বিপ্লব, শায়লা, সোহেল মন্ডল, খানকা মোড়ের হোটেল মাসুদ।

এ বিষয়ে নিহত ঝুট ব্যবসায়ী সুমনের ছোট বোন রিতা বেগম জানান, সুমনের বন্ধু বিপ্লব অটো রিক্সা কেনার জন্য ও আরেক বন্ধু সোহেল মন্ডল তাদের বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য সুমনের কাছ থেকে কয়েক মাস আগে সত্তর হাজার করে দুই জন মিলে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ধার নেয়। এক মাস পরে এ টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা ছিলো। বার বার চাইলেও তারা এ টাকা ফেরৎ দিচ্ছিলো না।

শুক্রবার ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার সময় বিপ্লব টাকা দেয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে সুমনকে তাদের বাসায় ডেকে নেয়। বিপ্লব সুমনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুমনের আর্ত চিৎকারে এলাকবাসি এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভোর ৫ টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর থেকে হত্যাকান্ডে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। নিহতের স্ত্রী এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন। পরিবারটিতে শোকের মাতম বইছে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।