বেনাপোলে ২০ লক্ষ টাকা আত্মসা করে পলাতক ভূঁয়া ডাক্তার

জয়নাল আবেদীন, বেনাপোল প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন যাব বিভিন্ন প্রকার মেডিকেল দক্ষতা দেখিয়ে ভুঁয়া ডাক্তার সেজে বেনাপোল বন্দর এলাকায় প্রতারনা করে অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে বিল্লাল হোসেন (৪০) নামে এক প্রতারক ডাক্তার।

বিল্লালের বাড়ী যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলী গ্রামে সে ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। প্রতারক বিল্লাল স্ত্রী এবং সন্তানাদী নিয়ে সে বেনাপোল পোর্ট থানার্ধীন সাদীপুর গ্রামে বসবাস করতো। ভুয়া ডাক্তার সেজে চিকিসার নামে এলাকার মানুষের কাছথেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সে সু কৌশলে বেনাপোল ত্যাগ করে।

কাউকে বুঝতে না দিয়ে স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে আগে থেকেই বেনাপোল থেকে সরিয়ে দেয়। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে ভুক্তভোগীরা উপায়ন্তর না পেয়ে তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারস্ত হয়। পরে সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গেলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকদের নিকট তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

প্রায় সর্বস্ব হারানো গাজীপুর পশ্চিম পাড়া নিবাসী মোছা রাশিদা বেগম (৪৫) নামের এক ভুক্তভোগী মহিলা সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ২ বছর যাব প্রতারক মিজান অসহায় ভাবে সে আমার কাছে আসে এবং ঔষধের দোকান করবে বলে ৬নং গেটের মসজিদের পাশে একটি দোকান ঘর দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নগদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মত হাতিয়ে নেয়।

এছাড়াও এলাকার অনেকের কাছ থেকে আরও ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই ভূঁয়া। ঘটনার পর থেকে আমরা আর তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। প্রতারক বিল্লালের গ্রামে বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে সেখানেও যায়নি। ভুক্তভোগীরা প্রতারক বিল্লালকে খুঁজেবের করতে এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগীতা চেয়েছেন।

এদিকে প্রতারক বিল্লালের ঔষধের দোকানে সাইনবোর্ড লিপিবদ্ধ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে চরম হতাশায় দিন পার করছেন লোকজন।