রৌমারীতে ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর জবানবন্দি গ্রহন

রাজীবপুর ও রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ধর্ম শিক্ষা গ্রহন করতে গিয়ে ধর্ষনের স্বীকার কিশোরী আজ সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে নির্যাতনের স্বীকার শিশুটি জবানবন্দি ২২ ধারায় রেকর্ড করে।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম আদালতে শিশুটির জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল বাছেদকে আটক কওে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।

উল্লেখ, রৌমারীর উত্তর বাইটকামারী গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে কোরআন শিক্ষা নেওয়ার জন্য চলতি বছরের মার্চ সাসের দিকে বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসার ওই শিক্ষকে দেওয়া হয় পরিবার থেকে। কোরআন পড়ানোর সুযোগে আব্দুল বাছেদ ধর্মীয় বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ৫ মাস পর ওই শিশুটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে গত আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মেয়েটি অন্তঃসত্তা বলে জানায়।

এ ঘটনায় ওই শিশুটির চাচা বাদী হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল বাছেদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে মামলা করে। পওে গত ৩১ আগস্ট রাতে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার শেওড়া মসজিদের বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করে রৌমারী ও তারাগঞ্জ পুলিশ। আটকের পরে তাকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।

আব্দুল বাছেদ (৪২) রৌমারীর উত্তর বাইটকামারী গ্রামের বাসিন্দা ও উত্তর বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। গ্রেফতারের পর প্রাধমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় রৌমারী থানা পুলিশ।