বিশেষ প্রতিবেদক: কুতুবদিয়ায় আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পুেিশর তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ওরফে পিচ্ছি হুমায়ুন। মাদক জগতে তার নাম এবং প্রভাব ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে। লেমশীখালী ইউনিয়নের ছিদ্দিক হাজির পাড়ার আবু ছৈয়দের ছেলে হুমায়ুন লেমশীখালীতে বসে নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা উপজেলার মাদক সিন্ডিকেট। অনেক মাদক ব্যবসায়ীর ভাষ্য, হুমায়ুন হচ্ছে উপজেলার মানবপাচার ও মাদক জগতের ডন।
সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। জেলের ভেতের বা বাইরে যেখানেই থাকুক তার ব্যবসা চলে পুরোদমে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কতিপয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে মানব পাচার ও মাদক ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাগর পথে মালেশিয়া মানব পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার হয় বঙ্গেপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল। পেকুয়ার মগনামা, চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ আন্তঃজেলা মানব পাচারকারি দলের সাথে যুক্ত হয় হুমায়ুন। এ সময় জেলার শীর্ষ মাদক কারবারিদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে খুব অল্প সময়েই কোটিপতি বনে যায় সে। কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারে নামে বেনামে তার অঢেল সম্পদ রয়েছে।
সম্প্রতি ইয়াবা ব্যবসায়ীর তক্মা ঢাকতে টাকার বিনিময়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি পদের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সে। এনিয়ে যুবদলের তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা যুবদলের অহবায়ক জসিম উদ্দিন সিকদার জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে মাদক ব্যবসায়ীকে কোন পদ পদবি দেয়া হবেনা। এ ব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ডের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস বলেন, মাদকের ব্যাপারে প্রশাসন জিরো টলারেন্সে আছে। সারাদেশের ন্যায় কুতুবদিয়াতেও মাদক নির্মুলে অবিরত অভিযান চলছে। হুমায়ুন পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়িরা যতই শক্তিধর হোক না কেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।