আমার জীবন উসর্গ করে দিয়েছি বাংলার মানুষের জন্য ..প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কে এম রিয়াজুল ইসলাম,বরগুনা প্রতিনিধিঃ আমার জীবন উসর্গ করে দিয়েছি বাংলার মানুষের জন্য। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, বাংলার মানুষের উন্নত জীবন দেয়া এটাই আমার কাম্য। বার বার মৃত্যুর মুখামুখি হয়েছি। ২১ আগষ্ট খুনি খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করেছে। আল্লাহ রহমত আমি বেঁচে গেছি। ওরা কি করেছে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাস ও সন্ত্রাসী দেশ করেছে। বার বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছে। মানি লন্ডারিং করেছে।

বিএনপি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশে অরাজ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ওরা বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে তার একটাই কারন তারা স্বাধীনতায় বিশ^াস করে না। তারা মানুষের উন্নতিতে বিশ^াস করে না। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে, এতিমদের না দিয়ে নিজে আত্মসা করেছে। যে কারনে আজ সাজা ভোগ করছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারে না। আবারো নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নৌকা জয়লাভ করলে মানুষ সুখী সমৃদ্ধশালী হয়ে বিশে^র বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারে। আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি।

আমারতো জীবনের চাওয়া পাওয়া নেই। বাংলাদেশের রাষ্টপতি আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, আমার মা বেগম ফজিলাতুনন্নেছা, আমার ভাই শেখ জামাল, শেখ কামাল ও ছোট্ট শিশু রাসেলকেসহ আমার পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। আমার আত্মীয় স্বজনকে হত্যা করেছে। আমি বিদেশে ছিলাম বিধায় বেঁচে গেছি। সব হারিয়েছি। স্বজন হারিয়ে ছয় বছর দেশের বাহিরে ছিলাম। দেশে এসে সারা দেশে ঘুরেছি দেখেছি মানুষের দুঃখ দূর্দশা। বাংলার মানুষের পেটে খাবার ছিল না। পরনে ছিল ছেড়া কাপড়। মাথা গোজার ঠাই ছিল না। ঘরের চালা দিয়ে পানি পরতো। রাস্তার পাশে পরে থাকতো। আপনাদের মাঝেই খুজে পাই আমার হারানো স্বজনদের।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যখনই আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তখনই দেশ উন্নত হয়েছে। যখনই ক্ষমতায় এসেছি। তখনই বাংলার মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাগবে কাজ করেছি। আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি মানুষের দূঃখ দুর্দশা লাগবে কাজ করেছেন। আমার বাবা চেয়েছেন এ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক। আমিও বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তায়নে কাজ করছি।মানুষ সুন্দর থাকবে যেটা ছিল আমার বাবার আকাঙ্খা। সেই আঙ্খকা বাস্তবায়নে কাজ করছি। জঙ্গি সন্ত্রাস ও মাদকের স্থান বাংলাদেশে হবে না। ইতিমধ্যে আমরা জঙ্গি দমনে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন যেন শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাস, সন্ত্রাস ও মাদকে জড়িত না হয়।

প্রতিটি উপজেলা মিনি স্টিডিয়াম করা হবে যাতে যুবক ও শিক্ষার্থীরা মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে না পরে। খেলাধুলা করে শিক্ষার্থীরা ও যুব সমাজ ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন,সকলকে লেখাপড়া শিখতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প নেই। লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে পার।