আসল ঘরে বাত্তি নাই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া

আলিফ হোসেন, তানোর: রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখানো এমপি ফারুকের বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও রাজনীতিতে সহাবস্থান সৃষ্টি করায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে এমপি ফারুক এখানো সমান জনপ্রিয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি যাদের দুহাত ভরে দিয়ে গেছেন যারা ষোল কলার পনের কলা পুরুন করেছে কিšত্ত এককলা পুরুণে ব্যর্থ হয়ে তারাই এখন এমপি ফারুক ও আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে মাছে নেমেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এমপি ফারুককে বির্তকিত করতে সব ধরণের অপপ্রচার করা হচ্ছে।

তাদের এসব অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছে কেনো ফারুক চৌধূরীকে মনেয়নয়ন দেয়া হবে না আর কেনো ফারুক চৌধূরী বিরোধীদের মনোনয়ন দেয়া হবে তার বিশ্লেষণ করে তাদের জানানো হোক। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে পারছে না কোন কারণে পরীক্ষিত নেতৃত্ব এমপি ফারুকের পরিবর্তে তাদের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। অথচ কোনো অবস্থাতেই মনোনয়ন পাবেন না বা তৃণমূল তাদের গ্রহণ করবে তা পরেও এরা মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ ও দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে কি-? উদ্দেশ্যে। এমনকি অনেকে দলীয় মনোনয়নে স্থানীয় নির্বাচনে একাধিকবার পরাজিত হয়েছেন, কেউ আবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হবার মতো গ্রহণযোগ্যতাও রাখে না, কেউ গভীর নলকুপের অপারেটর ইত্যাদি তারা যদি এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নামেন তাহলে কি বলা হবে এই প্রশ্ন তৃণমূলের।

এদিকে তৃণমূলের ভাষ্য, এরা যদি সত্যিই আওয়ামী লীগের ভালো চাই ও মনোনযন প্রত্যাশী হয় তাহলে মাঠে নেমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির নিয়মিত বৈঠক করে নেতাকর্মীদের সক্রিয়, সাংগঠনিক কর্মকান্ড গতিশীল এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনমত গড়তে কাজ করুক মনোনয়ন পেলে এসব মানুষই তাদের জন্য ভোট করবে। কিšত্ত তা না করে বিচ্ছিন্নভাবে গো-ডাউন ও কথিত কর্মসূচি দিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে। আবার নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতা নাই তাদের সঙ্গে তাহলে শো-ডাউনে আসছেন এরা কারা ইত্যাদি প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তাদের এসব কর্মকান্ড দেখে ‘আসল ঘরে বাত্তি নাই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া সেই প্রবাদ মনে করিয়ে দিচ্ছে।

এসব বিবেচনায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং (সাবেক) শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী এমপির ওপরই ফের আস্থা ও ভরসা রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের চতুর্থ বারের মতো তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে মাঠ গোছানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশের প্রথম শ্রেণীর দায়িত্বশীল একটি (প্রিন্ট মিডিয়া) গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল জল্পনা-কল্পনা, আলোচনা-পর্যালোচনার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরী এমপি। অথচ তার এই মনোনয়ন ঠেকাতে আরামের ঘুম হারাম করে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপধগামী করার চেস্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দলের জনবিচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নেতাকর্মী।