ইবি প্রেসক্লাব সদস্যদের পূজামন্ডপ ও লালন স্বরণোসব পরিদর্শন

ইবি প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গাপূজা ও লালন স্বরণোসব উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ, মন্দির ও লালন মেলা পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গোসবের চতুর্থ দিন মহানবমীতে এবং লালন স্বরণোসবের শেষ দিনে তারা এসব অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসাইন রুদ্র’র নেতৃত্বে সাংবাদিকরা প্রথমে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত লালন শাহ’র মাজারে যান। তারা সেখানে বাউল সম্রাট লালন শাহের ১২৮ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী লালন স্বরণোসবে যোগ দেন। এসময় তারা লালন ভক্তদের কন্ঠে লালন সঙ্গীত ও খেলাফাতধারী ভক্ত- সাধুদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে প্রেসক্লাবের সদস্যরা কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ও মন্দির পরিদর্শনে যান। মন্দিরে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ধর্মগুরু ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথেও মতবিনিময় করেন তারা।

সাংবাদিকরা জানান, সাধু-ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীদের সমাগমে মহাসাড়ম্বরে সম্পন্ন হচ্ছে লালন স্বরনোসব ও দুর্গোসবের প্রতিটি দিনের কার্যক্রম। শহরটি যেন এখন মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি জুয়েল হোসেন তনু, কোষাধ্যক্ষ সরকার মাসুম, প্রচার সম্পাদক এ আর রাশেদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক রুমি নোমান, সদস্য মুতাছিম বিল্লাহ পাপ্পু, আহসান নাঈম ও মাহবুব রায়হান।

এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য রাহুল কে এম ইউসুফ, শাহাদা স্বাধীন ও মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসাইন রুদ্র বলেন, ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উসবই পারে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করতে। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে এই সম্প্রীতির বন্ধনই মূখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি। আজ শুক্রবার বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচদিন ব্যাপী এ ধর্মীয় উসব শেষ হবে এছাড়া বৃহস্পতিবার তিনদিন ব্যাপী লালন স্বরণোসব শেষ হয়।