কিশোরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে মা ও দুইমেয়েকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে দূরবিত্তরা

মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মা ও দুই মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে দূরবিত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুর ২ টার সময় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের উত্তর পাড়াগ্রামে।
সরজমিনে ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, মাগুরা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা নুরুনাহারের খরিদ মূলে ভোগ দখলিয় সম্পত্তি যার মৌজা মাগুরা, জি এল নং ৩৭, খতিয়ান নং ১৬১১, দাগ নং ৫৫২৩, ২৪, ৩৩, ৩৪, ৩৫ জমির পরিমান ৫৯ শতকের মধ্যে ০৭.৫০ শতক জমি বসত বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল একই গ্রামের বজলার রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ তার স্ত্রী রুপালি বেগম ও ছেলে রোমান মিয়া সাথে।

কিন্তু ওই গ্রামের তৃতীয় পক্ষের লোক মৃত জসিমুদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান দিলিপ,লুলু মিয়া ও বকুল মিয়া, কামরুজ্জামান দিলিপের ছেলে শিপন মিয়া,সুজা মিয়ার ছেলে লেজু মিয়া ও সোহেল, লুলু মিয়ার ছেলে ইডেন ইচ্ছা কৃত ভাবে তাদের সাথে যোগ দিয়ে ঘটনার দিন ১৫ অক্টোবর দুপুর বেলা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নুরুনাহারের বাড়ীর উঠানে রুপালী বেগমকে দিয়ে গরুর গোবর শুকাতে তার (নুরুনাহার) বাড়ীর উঠানে পাঠিয়ে দেয়।

এ সময় নুরুনাহার তাদের নিষেধ করলে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী রুপালী বেগম ও তার দলবদ্ধ দূরবিত্তরা নুরুনাহার ও তার দুই মেয়েকে বাড়ী থেকে টেনেহিচরে বের করে বেদম মারপিট করে ও নুরুনাহারের গলায় থাকা স্বর্নের চেন দিলিপ টানদিয়ে ছিড়ে নেয় চলে যায়।
কারণ দূরবিত্তরা আগে থেকেই জানতো যে নুরুনাহারের বাড়ীতে পুরুষ মানুষ কেউ থাকতো না তার স্বামী চাকুরী করার কারণে তিনি রংপুরে ছিলেন। সেই সুযোগে তাদের কে ইচ্ছে মতো মারপির করে দূরবিত্তরা।

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে নুরুনাহার বেগমের অবস্থা আশংখা জনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়। পরে নুরুনাহার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন সিহাবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি দুঃজনক যে আমার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও তার দুই মেয়েকে যে ভাবে মারপির করেছে তা ঠিক হয়নি। কিন্তু আমি স্থানীয় ভাবে তা মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।