ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, বর্তমান সরকারে দেশ পরিচালনায় বলিষ্ট ও দক্ষ নেতৃত্বের কারনে আজ দেশে খাদ্য উপাদনে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে পেরেছে এবং উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তাই এখন সময় এসেছে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবার। সোমবার বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে কনজুমার ইয়থ বাংলাদেশ ইবি শাখার আয়োজনে খাদ্য দুষন প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন শীষর্ক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে বিভিন্ন সভ্যতায় কখনই ভেজাল খাদ্য দ্রব্যের বিষয়টি ছিল না। বর্তমান সময়ে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফা লাভের জন্য কারসাজির কারনে জীবন বাচাঁনোর অতীব জরুরী বিষয় সবধরনের খাদ্য শস্য, ফলমুলে ভেজাল দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শারিরীক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশের জন্য সুষম ও দুষনমুক্ত খাদ্য গ্রহনের বিকল্প নেই। তাই কতিপয় কিছু অসাদু ব্যবসায়ী যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইবি শাখার প্রেসিডেন্ট ও ইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ইমরান শুভ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা। খাদ্য দুষন প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন শীষর্ক ওয়ার্কশপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইবি শাখার উপদেষ্টা ও আই আই ই আর এর পরিচালক প্রফেসর ড.মেহের আলী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কনজুমার ইয়থ বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক পলাশ মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনে ওয়ার্কশপে ট্রেনার হিসাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রেজাউল করীম, আই এফ এস টির ও বি সি এস আই আর এর সায়েন্টিফিক অফিসার আবু তারেক মোঃ আবদুল্লাহ ও সুকেনদান মন্ডল প্রমুখ। এসময় বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
