জাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিক ও এক ছাত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টানা অবরোধের ফলে প্রশাসনিক ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

রোববার ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের গেটে অবস্থান নিয়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টালবাহানা ও প্রহসনের প্রতিবাদ জানাতেই তারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অবরোধ প্রত্যাহার করবেন না। অবরোধ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখা ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরাও।

পরে দুপুর তিনটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনে যান। সেখানে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার জন্য তিনি সকলকে সিনেট কক্ষে যাওয়ার আহ্বান করেন। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, ৩১অক্টোবর ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মিটিংয়ে এজেন্ডাটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সেদিনই প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও মিটিংয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল এলাকায় বহিরাগত এক তরুণ-তরুণী কে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে ওই ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন জাবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্র ও এক ছাত্রী। মারধরের শিকার ওই ছাত্র একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

পরে উপাচার্য এবং প্রক্টর বরাবর নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম আবর্তনের ছাত্র নেজামউদ্দিন নিলয় সহ ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২রা অক্টোবর প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ৪জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশের দুই দিন পরেই ৪অক্টোবর সাময়িক বহিষ্কার স্থগিতের নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর একাধিকবার বহিষ্কারের জন্য তারিখ দিয়ে বিচারের আশ্বাস দেয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।