ঝিনাইদহের শৈলকুপা -১ আসনের বিপরীতে ৩ ডজন বাঘা প্রার্থী

মো: জাহাঙ্গীর আলম (জীবন) ঝিনাইদহ: জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নিজেদের ঘর গোছাতে এখন ব্যস্ত দক্ষিণের জেলা ঝিনাইদহের রাজনৈতিক দলগুলো। মিছিল, মিটিং আর দলীয় মহড়ায় এগিয়ে চলছে গণসংযোগ। নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। বসে নেই বিএনপি ও অন্যদলগুলোও। যদিও, নেতৃত্বের আসনে যোগ্য প্রতিনিধিকে দেখতে চান ভোটার ও সুশীল সমাজ।নির্বাচনকে সামনে সময় যত গড়াচ্ছে সরগরম হচ্ছে জেলার ভোটের মাঠ। অবস্থান জানান দিতে প্রতিদিনই চলছে রাজনৈতিক দলের শোডাউন।

আর সেই সাথে চায়ের দোকানে নির্বাচনী আমেজ ফুটে উঠেছ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন বলছে, দেশের উন্নয়ন আর ডিজিটাল জোয়ারের কারণে জনগণ সবসময়ই তাদের পাশে আছে। এদিকে বিএনপি বলছে, জুলুম-নির্যাতনের মাঝেও সু-সংগঠিত তারা। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সব আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

ঝিনাইদহ – ১ শৈলকুপা আসনে বিগত বছরের ফলাফল ১৯৭৩-২০১৪ সাল। ১৯৭৩ নির্বাচনে প্রথম ক্ষমতায় আসে বর্তমান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, ১৯৭৯ জাসদ, ১৯৮৬ আওয়ামী লীগ, ১৯৮৮ জাসদ, ১৯৯১ বিএনপি, ১৯৯৬ বিএনপি, ২০০১ আওয়ামী লীগ, ২০০৮ আওয়ামী লীগ, বর্তমান ২০১৪ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাই।শৈলকুপা উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা সংসদীয় সীমানা। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫। বর্তমানে এমপি আব্দুল হাই।

উল্লেখ্য, ২০১৪ নির্বাচনে প্রায় লক্ষাধীক ভোটে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগরে বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েব আলী জোয়াদ্দারকে।২০১৪ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এক বছর সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনে মনোনয়ন পেতে বর্তমান রাজনৈতিক দল থেকে ৮ প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে ১ প্রার্থী। অন্য দিকে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীতেও রয়েছে ৩ প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাশী, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য আব্দুল ওহাব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.আসাদুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম প্রকাশ হলেও প্রকাশ্যভাবে এখনো তাদের মাঠে দেখা যায়নি। তবে তারা বলছেন- দলীয় নির্দেশ ও অবস্থান বুঝে তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করবেন। মনোনয়ন পেতে মরিয়া হলেও আগামীর নেতৃত্বে নতুনত্ব আর চমক দেখতে চান সুশীল সমাজসহ নবীণ প্রবীণ সবাই। আগামী বছরে একাদশ জাতীয় সংসদ এনির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোটারের ভোটে গঠিত হবে নতুন সরকার।