টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার

বিশ্বস্থ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় যে, হ্নীলা ইউপিস্থ দমদমিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে কেওড়া বাগানে ইয়াবা লুকায়িত থাকতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ৩১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখ ০২০০ ঘটিকায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত নায়েক মাহাবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কেওড়া বাগান এবং এর আশেপার্শ্বের এলাকায় তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে।

আনুমানিক ০৫৩০ ঘটিকায় টহলদল কেওড়া বাগানের একপার্শ্বে সামান্য পরিমান জায়গায় কর্দমাক্ত মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পায়। এমতাবস্থায় সন্দেহ হওয়ায় উক্ত স্থানের সামান্য মাটি খোঁড়ার পর পলিথিন দ্বারা মোড়ানো একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ দেখতে পায়। অতঃপর উক্ত ব্যাগটি মাটির নীচ হতে বের করে খুলে গণনা করে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ১০,০০০ (দশ হাজার) পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। উক্ত অভিযান শেষে ফেরত আসার সময় আনুমানিক ০৬০০ ঘটিকায় জাদিমোড়া মসজিদের সামনে একজন লোককে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে।

এমতাবস্থায় লোকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ২,৪০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট গলাধকরণ করেছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী তার পাকস্থলী হতে ৭,২০,০০০/- টাকা মূল্যমানের ২,৪০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। ধৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা। মোঃ শহিদুল্লাহ (৬৫), পিতা-মৃত ফজর আলী বেপারী, গ্রাম ও পোঃ-হোসেনদী, থানা-গজারিয়া, জেলা-মুন্সিগঞ্জ।

নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার অপরাধে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও আসামী বিহীন জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।