তানোর বিএনপি কোন্দলে বিপর্যস্ত

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপির নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের দীর্ঘদিনের বিরাজমান কোন্দল-মতবিরোধ ফের মাথাচাঁড়া দিয়েছে উঠেছে বিরাজ করছে বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি। জানা গেছে, উপজেলা ও পৌরসভা থেকে শুরু করে কোন্দল-মতবিরোধ তৃণমূলেও ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নেই পৃথক সাংগঠনিক কমিটি সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবং তানোর বিএনপির সম্পাদক ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের অযাচিত হস্তক্ষেপ তাদের অনুগত গ্রহণযোগ্যহীন বির্তকিতদের সমন্বয়ে পকেট কমিটি গঠন করায় এসব কোন্দল ও মতবিরোধের সূত্রপাত বলে তৃণমূলে মনে করছে।

এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন সময়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের অনুগত কর্মী-সমর্থক নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, কেউ যোগাদানের পক্রিয়ায় রয়েছেন আবার কেউ কেউ রাজনীতিতে থেকে স্বেচ্ছায় সরে গেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি তানোর মুন্ডমালা পৌর যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমানকে কোনো কারণ ব্যতিত সংগঠন পরিপন্থিভাবে মনগড়া রেজুলেশনের মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে রেজানুল ইসলাম রেজাকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির (সাবেক) চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে গোপণে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের (ঢাকা) বাড়িতে বসে তানোর উপজেলা ও মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে এ খবর ঝড়িয়ে পড়লে তানোরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে শুরু হয় কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও লবিং-গ্র“পিং সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি যা এখানো বিরাজমান রয়েছে। প্রতিনিয়ত কোন্দল-মতবিরোধ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে আগামীতে ব্যারিস্টার আমিনুল হককে ঢাকা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামতে হবে পাশাপাশি আদর্শিক প্রবীণ-ত্যাগীদের সঙ্গে সমঝতা করতে হবে। আর এতে ব্যর্থ হলে এখানে বিএনপির অস্থিত্ব হুমকির মূখে পড়বে। অপরদিকে দলের একাংশ ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও মিজানুর রহমান মিজানের একচ্ছত্র আধিপত্যর অবসান ঘটাতে পৃথক বলয় সুষ্টি করে রাজনীতির মাঠে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। তারা এদের একচ্ছত্র আধিপত্যর অবসান ঘটাতে প্রয়োজনে স্বপক্ষ ত্যাগের প্র¯ত্ততি নিচ্ছেন বলেও একাধিক সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

এসব বিবেচনায় বিএনপি এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। অধিকাংশক্ষেত্রে কেউ কারো নেতৃত্ব মানতে নারাজ। ফলে ভেঙ্গে পড়েছে দলের চেইন অব কমান্ড বিরাজ করছে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজ্জাম্মেল হক খাঁন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন কারণে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক কমিটি-উপ-কমিটির সৃষ্টি হয়েছে, তবে আমরা তা নিরসণের চেস্টা করছি। তিনি বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল আমরা চেস্টা করছি আরো ভাল করার। তিনি বলেন, যারা বিএনপির ভাল চাই না তারা এসব অপপ্রচার করছে।