ধর্মঘটের নামে সড়কে সংঘবদ্ধ মাস্তানি বন্ধ হোক, বাংলাদেশ ন্যাপ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রোববার ভোর থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে, তা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যেই গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে না, জনজীবনকেও অচল করে দিয়েছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েই দেখছে ধর্মঘট। পরিবহনশ্রমিকেরা শুধু নিজেদের যানবাহন বন্ধ রাখেননি, রিকশা, অটোরিকশাচালক এমনকি প্রাইভেট কার চলাচলেও বাধা দিয়েছেন। এটি ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করা ছাড়া কিছু নয়।

ধর্মঘটের নামে সড়কে সংঘবদ্ধ মাস্তানি বন্ধ হোক দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, রোববার ভোর থেকে বাংলাদেশে ফের ‘ধর্মঘটের যুগ’ ফিরে এল। আর বাংলাদেশ সড়ক শ্রমিক ফেডারেশন নামে যে সংগঠনটি এই ধর্মঘট ডেকেছে, সেই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারের একজন মন্ত্রী, শাজাহান খান। তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকলেও সড়কের ওপর আধিপত্য ছাড়তে চাইছেন না। এ কারণেই মন্ত্রী হয়েও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি পদটি তিনি দখল করে আছেন।

তারা বলেন, সড়ক পরিবহনশ্রমিকেরা তাঁদের ভাষায় সেই ‘কঠোর’ আইনকে কোমল করার জন্যই জনগণকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘটে নেমেছেন। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শাজাহান খান আইন পাস করলেন, আবার শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা হিসেবে তিনি সেই আইন বাতিল বা সংশোধনের দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকা সংবিধানবিরোধী। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দর-কষাকষির কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না।

নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতা নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। আর সড়ক পরিবহন খাতের মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান। মন্ত্রিসভার এই দুই সদস্য সড়ক পরিবহন আইন অনুমোদনের সময় কোনো বিরোধিতা করেননি। সংসদে পাস হওয়ার সময়ও আইনের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেননি।