নওগাঁয় পরকীয়ার জের ধরে প্রেমিক-প্রেমিকা আটক

মোঃ খালেদ বিন ফিরোজ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রামবাসি ২জন প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক দেলোয়ার হোসেন (৫৫) উপজেলার বৈলশিং গ্রামের জংলিপাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং রাশেদা বেওয়া (৪৮) একই গ্রামের দিঘিপাড়ার মৃত গুল মোহাম্মাদ এর স্ত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুশুম্বা গ্রামের রফিক উদ্দিনের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে রাখে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাে ল্যর সৃষ্টি করেছে।

মামলা ও স্থানিয় সূত্রে সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুই সন্তানের জননী রাশেদা বেওয়ার সাথে তিন সন্তানের জনক দেলোয়ার হোসেনের প্রায় ৪ বছর আগে সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্ন বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। এ ঘটনার জের ধরে শারিরিক সর্ম্পক গড়ে উঠতে পারে।

পরে তাদের এ গোপন অনৈতিক পরকীয়ার সম্পর্কটি অক্ষুন্ন ছিল। ঘটনার দিন দেলোয়ার হোসেন ওই বাড়িতে ডেকে নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাতে থানায় বসে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা মেনে না নেয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সর্ম্পক চলে আসছিল।

রাশেদা বেওয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন এবং বাড়ি মালিক রফিক উদ্দিনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদি রাশেদা বেওয়াকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। থানার পরির্দর্শক (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবরের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেন।

রাতে আটককৃত দেলোয়ার হোসেন এবং বাড়ি মালিক রফিক উদ্দিনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার রাশেদা বেওয়া। পরদিন রোববার সকালে আটক দেলোয়ার হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রাশেদা বেওয়াকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) রির্পোট পেলে এবং তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।