পদ্মা সেতু ক্ষতিপূরনের চেক জালিয়াতি, নারী ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ পদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরনের চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা লোপাটের ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থানায় মামলা করেছে সেতু কত্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শিবচরের মাদবরচর ইউপি সদস্য ছালমা বেগমকে সেতু বিভাগের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছালমা বেগম তার নিজের নামে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা লোপাট করেছে বলে নথিপত্র থানায় সরবরাহ করেছে সেতু বিভাগ। এ ঘটনায় সেতু বিভাগের নিয়োজিত ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (ইসডো) এরিয়া ম্যানেজার পলাতক রয়েছে।

থানা পুলিশ, সেতু বিভাগ ও মামলার বিবরনীতে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরনের অতিরিক্ত অনুদান ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন(ইসডো) নামের একটি বেসরকারি এনজিওর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। সম্প্রতি ওই এনজিওর জাজিরা শাখার এরিয়া ম্যানেজার জাকির হোসেন, শিবচরের মাদবরচরের নারী ইউপি সদস্য ছালমা বেগম ও কাদির ফকিরসহ ১০-১২ জনের একটি প্রতারক চক্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাপ্ত চেক (সিসিএল) জালিয়াতি করে।

চক্রটি সিসিএল জালিয়াতি করে ছালমা ও কাদিরের নামে পৃথক চেকের মাধ্যমে ৭৮ লাখ টাকার চেক এনজিওটি থেকে হাতিয়ে নেয়। গত ২২ অক্টোবর তল্লাশিতে সেতু কত্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় জালিয়াতির ঘটনা। ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সেতু কত্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জালিয়াতির বিষয়টির নথিপত্র ঘেটে চক্রটির হোতাদের চিহিৃত করে। মঙ্গলবার বিকেলেই সেতু কত্তৃপক্ষ শিবচর থানা পুলিশকে নিয়ে মাদবরচরে ইউপি সদস্য ছালমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের (নদী শাষন ও পূর্নবাসন) নির্বাহী প্রকৌশলী শারফুল ইসলাম বাদী হয়ে গভীর রাতে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এনজিওর জাজিরা শাখার এরিয়া ম্যানেজার জাকির হোসেন পলাতক রয়েছেন। শিবচর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাজাহান মিয়া বলেন, পদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরনের চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা লোপাটের ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থানায় মামলা করেছে সেতু কত্তৃপক্ষ। চেক জালিয়াতের ঘটনায় শিবচর থানা পুলিশ অভিযুক্ত মাদবরচরে ইউপি সদস্য ছালমা বেগমকে আটক করে।