মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন গংগারামপুর এলাকা

এস আর শানু খানঃ মাগুরা জেলার শালিখা থানার গংগারামপুর কামিল ছদরিয়া মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া এক ছাত্রী মাদরাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তা থেকে ইজিভ্যান চালক শিমুল (৩২) তাকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বলে ইজিভ্যানে উঠায়। শিমুল গংগারামপুরের রাজধানী পাড়ার মোঃ মুমিন বিশ্বাসের ছেলে। শিমুল মেয়েটিকে বাড়ি না পৌছে দিয়ে ভিন্ন পথে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এবং তার উপর অমানবিক অত্যাচার চালায়। মাদরাসার ইংরেজি শিক্ষক মোঃ হায়দার সাহেব বলেন মাদরাসা ছুটি হওয়ার পর অনেক সময় পার হয়ে গেলে মেয়ের অভিবাক মাদরাসা ও তার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি খোজ নিয়েও না পেয়ে কান্না কাটি শুরু করে। তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে। এমন সময় দেখে এই ধর্ষক শিমুল তাকে ভ্যানে করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিচ্ছে। এরপর মেয়েটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে দিয়ে ভর্তি করা হয়। এবং শিমুলকে পুলিশে দেওয়া হয়। এরপর এই ধর্ষণের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা অঞ্চলে।

এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠে গংগারামপুরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরদিন সকালে মাদরাসার সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও র‌্যালি নিয়ে বের হয়। তাদের সাথে একাগ্রতা ঘোষণা করে গংগারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীও ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যবৃন্দরা। এরপর গংগারামাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই মানব বন্ধন ও র‌্যালিতে যোগ দেয়। এরপর বাজারের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে অগ্নি ঝরা ঝাঁঝালো শ্লোগানে মিছিল নিয়ে আসে গংগারামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্কুলের শিক্ষকেরাও।

বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা তাহেরা বেগম উক্ত মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে জোড়ালো ভাষণ দেন। এরপর আর বক্তব্য দেন শালিখা থানার পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোঃ মাকসুদুর রহমান ডলার। তিনি আরও বলেন এমন দৃষ্টান্ত্য মুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন পরবর্তীতে এমনটা কেউ না করবার সাহস পায় কখনও। উপস্থিত এলাকা বাসীদের সাথে শিমুল সর্ম্পেকে জানতে চাইলেই তিনারা জানান শুধু এটাই নয়। এর আগেও এরকম আর জঘন্য অনেক অভিযোগ রয়েছে এই শিমুলের নামে। ধর্ষক শিমুলের ফাঁসি চেয়েছেন উপস্থিত সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।