যশোর প্রতিনিধি: যশোরে আদালত অবমাননার অভিযোগে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপালনকারী ১২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। শনিবার (২৭ অক্টোবর) হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখায় পৌঁছানো পরোয়ানা সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় এসকল চিকিসকরা ভিকটিমকে জখমী সনদ, ময়না তদন্ত রিপোর্ট, ধর্ষিতার প্রতিবেদন দিয়েছেন। মামলার বিচারকার্যে এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিসকদের সাক্ষ্য প্রয়োজন হওয়ায়, একাধিকবার তাদেরকে তলব করলেও উপস্থিত না হওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পরোয়ানাপ্রাপ্ত চিকিসকরা হলেন, জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুর রহমান, ডা.জিকেএম কামরুজ্জামান, ডা.এমএ লতিফ, ডা.কানিজ ফাতেমা, ডা.নাছির উদ্দিন, ডা.ফারুক এহতেশাম পরাগ, ডা.এমএ সামাদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আলী, ডা.মুসতাঈন বিল্লাহ, ডা.হাসান মাহমুদ হাদী, ডা.নজরুল ইসলাম এবং ডা. আব্দুল কাদের। এদের মধ্যে ডা.কানিজ ফাতেমা যশোর মেডিকেল কলেজে, ডা.নাছির উদ্দিন ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডা.ফারুক এহতেশাম পরাগ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এবং ডা. এম এ সামাদ ও ডা.আব্দুল কাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বাকিরা অবসরে গেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, আদালত একাধিক বার নোটিস করলেও সাক্ষ্য দিতে না যাওয়ার কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, ২৭ অক্টোবর পরোয়ানা আমরা হাতে পেলেও মূলত এমাসের ৪ তারিখে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক শেখ ফারুক হোসেন এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।