সম্প্রচারে আসছে ‘মায়া মসনদ’

এসএম শাফায়েত: সম্প্রচারে আসছে বাংলাদেশের প্রথম ভিএফএক্স ও থ্রিডি গ্রাফিক্স নির্ভর মেগা ফ্যান্টাসি ধারাবাহিক ‘মায়া মসনদ’। সম্পূর্ণ রুপকথার গল্প নিয়ে মিডিয়া ইমপ্রেশন ও ঘাসফড়িং প্রোডাকশনের ব্যানারে নাটকটি নির্মাণ করেছে হোয়াইট ব্যালেন্স প্রোডাকশন হাউস। আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টা ২০মিনিটে প্রথমবারের মত এনটিভির পর্দায় দেখা যাবে ‘মায়া মসনদ’। এ ছাড়াও সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম ও মঙ্গলবার একই সময়ে প্রচার করা হবে নাটকটি।

এতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা, সাবেরী আলম, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, অবিদ রেহান, শশী, নিলয় আলমগীর, নামিরা মৌ, মৌসুমী নাগ, মোমেনা চৌধুরী, সৈয়দ শুভ্র, শাখাওয়াত শিমুল, পলাশ লোহ, সৈয়দা শীলা, নিপা, রোহিত, রাসেল, নির্জন আজাদ উজ্জল হোসেন, দাউদ নূরসহ দেড় শতাধিক নাট্যকর্মী। তারকাবহুল এই নাটকটি পরিচালনা করেছেন এস এম সালাহ উদ্দীন। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন অরিন্দম গুহ। পর্ব পরিচালনা করেছেন আতিকুর রহমান বেলাল ও দৃশ্য পরিচালনা করেছেন মাকসুদুল হক ইমু। ভিএফএক্স সুপারভাইজার হিসেবে আছেন তানিম শাহরিয়ার।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাটকটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এনটিভির তেজগাঁওস্থ স্টুডিওতে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনটিভির অনুষ্ঠান প্রধান মোস্তফা মোহাম্মদ সৈয়দ, ক্রিড়া সংগঠক কামরুন নেসা আশরাফ দিনা, অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ, নিলয় ও শশী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘মায়া মসনদ’ নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল কলাকুশলী, শিল্পী, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক এস এম সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘এটি একটি ফ্যামিলি ড্রামা সিরিজ। ছোট-বড় সবাই এটি দেখতে পারবেন। যারা রুপকথা পছন্দ করেন, মূলত তাদের জন্যই এই নাটক। বিশে^র সবাই এখন অতীতের গল্প কিংবা ভবিষ্যতের গল্প জানতে চায়, যেটা তাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমি এখানে অতীতের একটা গল্প ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। মায়া মসনদ নাটকের প্রতিটি চরিত্র সুপার হিরো/হিরোইন। ঈষাণ বাংলার সুলতানের পরিবার নিয়ে নাটকটির গল্প আবর্তিত। নাটকে পৃথিবীর মানুষ, নিচের জগৎ ও উপরের জাতি দেখানো হবে। রাজপ্রাসাদের নানা ষড়যন্ত্র তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। আর এদের ক্ষতি করছে দানবরা। মানুষ, দানব ও পরীর মধ্যে প্রেম ও যুদ্ধও নাটকের গল্পে রয়েছে।

‘মায়া মসনদ’ নাটকের গল্পে যা দেখা যাবে

ঈষাণ বাংলার সুলতান আর্সনাল যখন তার রাজ্যের দায়িত্বভার ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয় তখন তার জেষ্ঠ্যপুত্র আথিয়ার ছলে, বলে, কৌশলে অন্য দুই ভাই দাবির ও ফাহিমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় সেই মসনদ। কিন্তু মেই মসনদ হাতের মুঠোয় ধরে রাখতে গিয়ে চরম মানসিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

একদিকে যখন আথিয়ারের ছোট ভাই ফাহিম ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয় ঈষাণ বাংলার মসনদ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তখন অন্যদিকে আথিয়ার জানতে পারে তার মসনদের অন্যতম শক্র হয়ে দাড়াবে বীতস্পৃহ দাবিরের কন্যা। ভবিষ্যতের এই শক্রর হাত থেকে মসনদ রক্ষা করতে দাবির ও তার স্ত্রীর উপর চরম আঘাত হাতনে প্রস্তুত হয় আথিয়ার। কিন্তু এই অদ্ভুত মায়াজালের টানে দাবিরের দুই কন্যা তাদের জন্মের পূর্বেই পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে যায় দুই ভিন্ন জীব বলয়ে।

অন্যদিকে, ততদিনে পৃথিবীর উর্ধ্ব বলয় মেঘমন্ডলের স¤্রাট আরাশ ও তার দুই পুত্র আর্দা এবং কারাব এক সুদীর্ঘ যুদ্ধ শেষে ফিরে আসে তাদের রাজ্যে। আপাত শান্তি ও ভালোবাসার বাতাবরণে মোড়া এই মেঘমন্ডলেও ধীরে ধীরে দেখা দেয় মসনদের মায়া তথা ক্ষমতালোভের অপার আকাক্সক্ষা। কারাব ও আর্দার দুই স্ত্রী তথা স¤্রাট আরাশের স্ত্রীরাও জড়িয়ে পড়ে এই লোভের মায়াজালে। অসীম ক্ষমতার অধিকারী সুলতান আথিয়ার ও তার কুটিল স্ত্রী শীনাজের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া? কী হয় তারপর? সুরাইয়া কি সত্যিই নেমে আসে পৃথিবীরবুকে? সে কী কোনোদিন মুখোমুখি হতে পারে সুলতান আথিয়ারের? মেঘমন্ডল ও ঈষাণ বাংলার মসনদের মায়া কোন পথে নিয়ে যায় কাহিনীর অন্যান্য চরিত্রকে? এসব দেখতে এবং জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন এনটিভির পর্দায়।