সাতক্ষীরা শহরে বেপরোয়া অবৈধ যানবাহন, অতিষ্ট সাধারন মানুষ

সাতক্ষীরার সড়ক মহাসড়কগুলোতে বেপরোয়াভাবে চলছে অবৈধ যানবাহন। তীব্র গরম আর যানযটের কবলে অতিষ্ট শহরবাসী। আর সড়ক ও মহাসড়কে বেপরোয়া অবৈধ যানবাহনের কারনে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। দিনদিন এসব অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নলকূপের ইঞ্জিন দিয়ে স্থানীয় গ্যারেজে তৈরি হওয়া নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু জেলার সড়ক ও মহাসড়কে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে। এছাড়া রয়েছে সাতক্ষীরা পৌর শহর জুড়ে হাজার হাজার অবৈধ ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও ইজিবাইক।

সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট এলাকার মোঃ নুরুল হাসান জানান, অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানোর কথা বলে প্রশাসন অভিযান চালায় শুধু মটরসাইকেলের উপরে। কেন? এসব বেপরোয়া অবৈধ যানবাহন আটক করা হয়না। সাতক্ষীরা পিএন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাএ রবিউল ইসলাম বলেন পাকাপুলের মোড়ে দিয়ে আমার প্রতিদিন বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে হয় কিন্তু দেখা য়ায় প্রতিনিয়ত এখানে যানযটের সৃষ্টি হয় এবং এখানে আটকে থাকতে হয় এতে করে অনেক সময় নষ্ট হয় আমার।

এ ছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ন স্থানে যেমন খুলনা রোড মোড়, সঙ্গীতার মোড়, পোষ্ট অফিস মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, পিএন স্কুল মোড়, মহিলা কলেজ মোড়সহ তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই আলী হোসেন জানান আমরা শহরের যানযট কমানোর জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা কত তার কোনো হিসাব প্রশাসনের কাছে নেই। সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহম্মেদ চিশতি জানান, সাতক্ষীরা শহরে ইজিবাইকের সংখ্যা একটু বেশি। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬শ ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেয়। সে ক্ষেএে আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশ কিছু অবৈধ যানবাহন নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু ও কিছু লাইস্চেসবিহীন ইজিবাইক বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শহরে প্রবেশ করছে।

এতিমধ্যে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশের তিনটি পথে পৌরসভার সেচ্ছাসেবক কর্মীদ্বারা আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এছাড়া পুলিশ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। এবং বাইরের কোন ইজিবাইক আমরা শহরে ঢুকতে দিচ্ছি না। এ অভিযান আমাদের অব্যাহত আছে। আসন্ন দূর্ঘাপূজা উপলক্ষ্যে অভিযান একটু শিথিল আছে। পূজার পরে আমাদের অভিযান আবার জোরদার করবো। আমরা আশা করি আমাদের পৌরসভাকে গ্রিন এবং ক্লিন সিটি তৈরিতে আমাদের পরিকল্পনা গুলো সহয়াক ভূমিকা পালন করবে।