সিলেটে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি জনসাধারণ

আবুল হোসেন,সিলেট: সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে সিলেটসহ সারাদেশে সোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের গণপরিবহন ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।

পরিবহন শ্রমিকদের এই কর্মসূচির কারণে রোববারের মতো সোমবারও ভোর থেকে সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ কোনো বাস টার্মিনাল থেকে কোনধরনের বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস সহ ছোটখাটো যান চলাচলও ছিল সীমিত। এতে দূরপাল্লার যাত্রীদের মতো ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস, স্কুলকলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

সরজমিনে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় যাত্রীরা বাস টার্মিনাল গুলোতে গেলেও ফিরে আসতে হয়েছে বাস না পেয়ে। এদিকে বাসের সাথে সাথে নগরীতে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানও চলাচল করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে। বাস টার্মিনাল থেকে ফেরা যাত্রীরা ছুটছেন রেলপথে গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

এর আগে রোববার পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রথম দিনে প্রায় সব জায়গাতেই সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছিল লাঠি হাতে শ্রমিকদের মহড়া। কোথাও কোথাও শ্রমিকরা ব্যক্তিগত বিভিন্ন যান চলাচলেও বাধা দেয়। প্রাইভেটকার, অটোরিকশার চালক এবং যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে তাদের মুখে ও জামাকাপড়ে মাখিয়ে দেওয়া হয় পোড়া মবিল ও থুতু।

প্রসঙ্গত, সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সিলেটসহ সারাদেশে সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে জনসাধারণকে জিম্মি করার অভিযোগ উঠলে তা অস্বীকার করে রোববার সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিলেট বিভাগীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ শামসুল হক মানিক জানান, বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

জনগণকে জিম্মি করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এছাড়া ৪৮ ঘণ্টা কর্মসূচি পালনের পর দাবি আদায়ে মঙ্গলবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।