হবিগঞ্জে পৃথক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

মিজানুর রহমান সোহেল, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে পৃথক হত্যা মামলায় বুধবার (১০ অক্টোবর) ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুপুরে আজমিরীগঞ্জে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের আব্দুল হাই চৌধুরীর ছেলে সাকিউর চৌধুরী ও রমিজ মিয়ার ছেলে গাজিউর চৌধুরী।

মামলার আসামী অপর ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ জুন রাত ১০টায় আসামীরা মোবাইল ফোনে তাদেও প্রতিবেশি বদিউজ্জামান চৌধুরীর ছেলে বাছির মিয়া চৌধুরীকে (৩০) ডেকে নেয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। উক্ত ঘটনায় ১৩ জুন আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ২৪ জুন বাছিরের বড় ভাই যীশু মিয়া চৌধুরী বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মামলার আসামী সাকিউরকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাইয়ারখারা বিলের পাশের একটি জমিতে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় বাছির মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় সাকিউর ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে সে আদালতকে জানায়। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক বুধবার উল্লেখিত রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে সাকিউর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামী গাজিউর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল আহাদ ফারুক। অপরদিকে হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেন এ রায় দেন। এছাড়াও আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার সম্পত্তি বিক্রি করে তা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অরবিন্দু দাশ (৩৩) নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের মনিন্দ্র দাশের ছেলে। নিহত যুবক বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের নকুল চন্দ্র দাশের ছেলে সত্যজি দাশ।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় সত্যজিৎ গ্রামের মাঠে কির্ত্তণ শুনতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেলে গ্রামের শ্মশানঘাট সংলগ্ন ডোবা থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় তার গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বোন অনিকা রাণী দাশ বাদি হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।