হাতীবান্ধায় শ্বাশুড়ির দা’য়ের কোপে জামাই আহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শ্বাশুড়ি জমিরন নেছা(টুনি) দা দিয়ে কুপিয়ে তার জামাতা রবিউল ইসলামকে গুরতর আহত করেছে। বর্তমান সে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন। ক্ষত স্থানে চব্বিশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। রবিউল ইসলাম উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। আর জমিরন নেছা উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের সুরুজ্জামানের স্ত্রী।

জানাগেছে, দুই বছর আগে রবিউলের সাথে বিয়ে হয় সুরুজ্জামান ও জমিরন নেছার মেয়ে সুমির। বিয়ের পর থেকে সুমি আমাদেরকে পছন্দ করতো না। তাই কিছুদিন পর তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় ১০দিন আগে রবিউল এক কেজী বয়লার মুরগীর মাংস বাসায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে অর্ধেক আমার বাবাকে দেয়। এ নিয়ে সুৃমি রবিউলের সাথে ঝগড়া শুরু করে। এ ঘটনার তিন দিন পর সুমির মা জমিরন নেছা আমাদের বাসায় এসে সুমিকে তার বাসায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুমিকে আনতে যায় রবিউল।

সুমির বাড়িতে রবিউলের শ্বশুড় সুরুজ্জামাল, মামা শ্বশুড় ফরিদুল ও নানা শ্বশুড় তার গলা চেপে ধরে আর তার শ্বাশুড়ি লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতারি মারধর করে। সেখান থেকে পালিয়ে আসার পথে তার শ্বাশুড়ি তাকে পিছন থেকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হাসপাতালের সাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রবিউলের ক্ষত স্থানে চব্বিশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সে সুস্থ রয়েছে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।