৭২ ঘন্টা পর বান্দরবনের ঝিরি হতে স্থপতি ফাহিমের লাশ উদ্ধার

জে.জাহেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার সিং লং ঝিরি হতে নিখোঁজ পর্যটক আরিফুল হাসান ফাহিম এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আকবর হোসেন। জানা যায়, নিখোঁজের প্রায় ৭২ ঘন্টা পর আজ বিকাল ৩টায় লাশটি উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি।

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর থানচি রেমাক্রী খাল পাড়ি দিতে গিয়ে আরিফুল হাসান ফাহিম (২৫) নামে এক পর্যটক নিখোঁজ হন। ১৫ অক্টোবর ফাহিম সহ ৬ জনের একটি পর্যটকদল শ্যামলী পরিবহন যোগে বান্দরবনে ভ্রমণে আসেন।

এমনকি পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায়, থানচি উপজেলা সদর থেকে আরিফুল হাসান ফাহিমসহ ছয়জন পর্যটক দর্শনীয় পর্যটন স্পট রেমাক্রী ভ্রমণে যান। বাকি পর্যটকরা হলেন-ঢাকার মহাখালীর আবুল হাসনাত, বাড্ডা এলাকার নিশাত পারভেজ ও শামছুল করিম, খিলগাঁও এলাকার মো. আশফাক রাকিব হাসান ও বাসাবো এলাকার ফাহাদ বিন তৌহিদ।

রেমাক্রী থেকে নাফাখুম জলপ্রপাতের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। ওই জলপ্রপাতে যেতে সাত-আটবার পাথুরে রেমাক্রী খাল হেঁটে পার হতে হয়। ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে ওই এলাকায় গত কিছুদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে রেমাক্রী খাল ও সাঙ্গু নদীতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। বিপজ্জনক পরিস্থিতি থাকায় স্থানীয় প্রশাসন সব সময় পর্যটকদের সতর্কতার নির্দেশ দেন।

এবং নিয়ম অনুযায়ী বান্দরবানের থানচি থানায় আগত সকল পর্যটকদের নাম-ঠিকানা লেখার পর ছবি তুলে রাখে পুলিশ। ছবিতে ছয়জন পর্যটকের মধ্যে আরিফুল হাসান ফাহিম (বাঁ থেকে তৃতীয়) যিনি রেমাক্রী সিংলং ঝিরি পাড়ি দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। জানা যায়, রেমাক্রী থেকে হেঁটে হেঁটে নাফাখুম যাওয়ার সময় সিংলং ঝিরি পার হবার সময় পানির স্রোতে ভেসে যান পর্যটক আরিফুল হাসান।

প্রশাসন সকল আগত পর্যটককে ঝিরি পারাপারের সময় লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করলেও ঘটনার সময় ফাহিম তা পরিধান করেনি বলে জানা যায়। খবর পেয়ে বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে দীর্ঘ ৭২ঘন্টা পর উদ্ধার কওে নিখোঁজ স্থপতি ফাহিমের লাশ। এ বিষয়ে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুচ সাত্তার ভূইয়া বলেন, নিখোঁজ পর্যটক আরিফুল হাসান ফাহিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বান্দরবন থানচি বলিপাড়া বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাবিবুল হাসানের নির্দেশে বিজিবি সদস্যরা ও নিখোঁজ পর্যটকের খোঁজে সহযোগিতা করেন বলে জানা যায়। তথ্যমতে, নিখোঁজ আরিফুল হাসান ফাহিম ঢাকার মিরপুরের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে আর্কিটেকচারের ওপর পড়াশুনা করে চাকরি করতেন ঢাকায়।