সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ বাজারের কাছে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর সেতু নেই। নদীটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে আদিয়াবাদ ও শিবপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আদিয়াবাদ এলাকার মো. আজিজুল হক বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে পাস করার পর আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ১০ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার হয় পথচারীরা। প্রতিদিন এ পথে শিবপুর উপজেলা থেকে আসা ও আদিয়াবাদ, যোশর, মরজাল, শিষ্টিঘর, চৈতন্যা, কান্ডাবর ও দড়িপাড়া এলাকাসহ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোটির পাশেই আদিয়াবাদ বাজার। সেখানে সপ্তাহে শনি ও বুধবার হাট বসে। এ দুদিন দূরদূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে এসে কৃষকেরা সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন। সঙ্গে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
সাঁকোটির পাশেই আদিয়বাদ ইউনিয়ন পরিষদ। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নদীর এপার-ওপারে যেতে হয়। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে জেলা শহরে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। যোশর বাজার এলাকার রহিমা খাতুন (৬০) বলেন, আমি কোনো সময় এই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে পারি নাই। ভয়ে সব সময় বসে বসে পার হই। একদিন সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্যর্রে সাঁকোটির দুই পাশে রেলিং থাকার সত্ত্বেও ব্রিজটি পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়াচ্ছে। সেটি উঁচু-নিচু অবস্থায় আছে। চলার সময় সেটি দোলে।
আদিয়াবাদ এলাকার শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান বলেন, সাঁকো পার হয়ে কলেজে যেতে হয়। অনেকে প্রায়ই সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে যায়। সদর উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তযোদ্ধা আঃ নুরু বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে। দ্রুতই এর একটা ফল পাওয়া যাবে।
এলজিইডির সদর জেলার কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিজটি করার জন্য ইতিমধ্যেই মাঠকর্মীরা মেপে এনেছে। তাই আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে অবহিত করেছি। দ্রুতই এলাকাবাসী এর সুফল পাবে।