ফোনে আড়িপেতে কথা শোনা অনৈতিক, জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ফোনে আড়িপেতে কারো ব্যক্তিগত কথপোথন রেকর্ড ও তা প্রকাশ করা সম্পুর্ন অনৈতিক বলে অভিহিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বুধবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাম্প্রতিক ঘটনা ও ফোনে আড়িপাতা প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমার রেজিস্টারের সাথে আমি কথা বলতেই পারি, কিন্তু গোপনে আমার ফোনের কথপোকথন রেকর্ড করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সংবাদ সম্মেলনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ফোনের কথপোকথন সম্পূর্ণ প্রকাশ করা হয়নি দাবি করে বলেন, আমি অস্বীকার করছিনা, আমি কথা বলেছি, কিন্ত এখানে কিছু কাটছাট করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। আমি বলেছি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার সময় আমাদের যেসব মেয়েদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে তারা কেন মামলা দায়ের করেনি। তারা মামলা দায়ের করুক। নির্যাতিত হলে মামলা দায়েরতো করতেই হবে।”

অন্যদিকে ফাঁস হওয়া ফোনের কথপোথনের অডিওতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে জড়িয়ে নেওয়ার আলাপ এবং ৫০ জনের তালিকা করে তাদের মারপিটের কাজে লাগানোসহ বিশৃক্সখলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা প্রতিবাদ করেছে, তারা নিজেরাই করেছে, আর ৫০ জনের তালিকা করে কোন মারপিটের কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে আমাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০৭ টি দেশ থেকে বিদেশি যে প্রতিনিধিরা আসছেন, তাদের দেখভাল করা সহ তাদের নিরাপত্তার জন্য ৫০ জনের একটি তালিকা করতে বলেছি। আর ফোনে আড়িপাতার এই পুরো বিষয়টিইতো অন্যায়, অনৈতিক।

উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও গণস্বাস্ত কেন্দ্রের রেজিস্টার মীর মোর্তজা আলী বাবুর একটি ফোনালাপের অডিও রেকর্ডিং গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। অডিও ক্লিপটিতে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করা, ৫০ জনের একটি তালিকা তৈরী করে মারপিট করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে শোনা যায়।