কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে প্রচারণায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে ধানের শীষ

এম.এম রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের মাঠে সরব রয়েছেন মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মনত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মুজিল হক চুন্নু এমপি।

তিনি দুই উপজেলাতেই ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও উঠোন বৈঠক করে ভোটারদের মন জয় করার জন্য রাত দিন কাজ করছেন বিরামহীনভাবে। ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল তথা মহাজোটের জয়ের হাওয়া বইছে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল- জেএসডির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ড.সাইফুল ইসলাম ও তার কর্মী-সমর্থকরা তেমন সরব নেই। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের হামলা-মামলার কারণে তারা মাঠে নামতে পারছেন না।

জেলার-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৮ জন। ধানের শীষের প্রার্থী ড. সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার সঙ্গে যারা নির্বাচনী কাজ করে তারা রাতে ঘুমাতে পারে না। পুলিশ তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। পোষ্টার লাগাতে গেলে হযরানি করছে। পোষ্টার লাগাতে দিচ্ছে না। প্রচার-প্রচারণার কাজে প্রতিনিয়তই বাধা প্রয়োগ করছে।

বিগত তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে যে গণজোয়ার হয়েছিলো একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশব্যাপী সেই গণজোয়ার বইছে। গ্রাম-গঞ্জে যেখানেই মহাজোটের উঠোন বৈঠক হচ্ছে সেখানেই হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। কারণ এদেশের শান্তি প্রিয় জনগণ উন্ননের পক্ষে থেকে এ ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও মহাজোটকে ভোট দিবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করি না। যে কারণে এখানে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়াও এখানে সিপিবি, গণতন্ত্রী পার্টি, জাসদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।