কেশবপুরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে বারী- ১৪ ও বারী- ৯ জাতসহ সকল সরিষা চাষে বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। কেশবপুর পৌরসভা, ত্রিমোহিনী, সাঁগরদাড়ি, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর সদর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, সাতবাড়িয়া ও হাসানপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে মাঠে শুধু সরিষার ক্ষেত আর সরিষার ক্ষেত। সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে আগ্রহী হয়ে পড়েছে কৃষকরা।এবছরে বৃষ্টি না থাকায় সরিষা চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন অনেক কৃষকরা।

গত বছর অসময়ে প্রকৃতির বৈরীতার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শত শত সরিষা চাষী। যে কারণে বাম্পার ফলন হওয়ার পরও সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন দারুণ ভাবে ব্যাহত হয়েছিল। কৃষকেরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

পাশা-পাশি অধিক ফলনশীল বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। যার ধারাবাহিকতায় এবছরও তারা আগাম সরিষা চাষ শুরু করে। গোপসেনা, সাঁগরদাড়ি, চিংড়া, মজিদপুর, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, ব্রহ্মকাটি, গড়ভাঙ্গা, সাতবাড়িয়া, দোরমুটিয়া, মূলগ্রাম, হাবাসপোলসহ অনেক গ্রামের সরিষা ক্ষেতের চাষীরা জানান বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতেরসরিষা অধিক ফলনশীল জাত। এবছর আমাদের বাম্পার ফলন হয়েছে।

গতবছরে বৃষ্টির কারণে আমাদের সরিষার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবছরে বৃষ্টি না থাকায় বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষার চাষ করে আশাকরি লাভবান হবো। আবার অনেক কৃষকরা অন্য জাতের সরিষার চাষ করেছেন। তাদেরও ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেবচন্দ্র সানা জানান প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কেশবপুর উপজেলায় ৩’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

এর মধ্যে ২১০ হেক্টর জমিতে বারী-১৪, ৪০ হেক্টর জমিতে বারী-৯ ও ১৪৫ হেক্টর জমিতে অন্যান্য জাতেরসরিষার চাষ করা হয়েছে। বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা অধিক ফলনশীল একটি জাত। যা প্রতি বিঘাতে ৫ থেকে ৬মণ ফলন দেয়।

অধিক ফলন হওয়ার জন্য কৃষকরা বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষে আগ্রহী। ফলন বেশী হওয়ার কারণে কেশবপুরের কৃষকেরা প্রতি বছর বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করে থাকে।