চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে গভীর রাতে মাঠের মধ্যে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা

মামুন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আলমগীর (৩৫) কে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত। মারাত্মক জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

জানা গেছে সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের ক্লাব পাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে আলমগীর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একই গ্রামের ছানোয়ারের ছেলে হেলাল (৩০) ও মকলেস (৩২) এবং মতেহারের ছেলে সৈয়দ (৩৫) পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় সেখান থেকে তাকে জোর পূর্বক আটপেকের মাঠে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা গুজে দিয়ে রড ও লাঠি দিয়ে মারাত্মক ভাবে পিটিয়ে জখম করে।

এ বিষয়ে আহত আলমগীর ও তার পরিবারসুত্র জানায়, ছানোয়ারের ছেলে হেলালের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কটবন্দকে জমি লিজ নেয়। জমির টাকা নেওয়ার পর হেলাল আর আলমগীরকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। আলমগীর হেলালের কাছে টাকা ফেরত চাইলে হেলাল ও তার লোকজন আলমগীরকে হুমকী ধামকী দেয়। তাকে ফেন্সিডিল দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেবে।
স্থানীয়ভাবে শালিস- বৈঠকের মাধ্যমে তারা টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য অঙ্গীকার করে।

এমতাবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পাওনা টাকা চাওয়ায় হেলাল বলে আট পেকের মাঠে একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে দেবে বলে মাঠে নিয়ে যায়। এসময় হেলাল মকলেস ও সৈয়দ তার হাত-পা বেধে এবং মুখে গামছা গুজে দিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক নির্যাতন করে জখম করে। তারা বলতে থাকে আমাকে এখানে মেরে ফেলে যাবে।

শেষ পর্যায়ে আমার মুখের বাধন খুলে দিয়ে মুখে লাথি মেরে সামনের দুটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে এবং রড দিয়ে ডান পায়ের হাটুতে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়। আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে এলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ বিষয় নিয়ে এলাকাবাসী ধারনা পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এরকম নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে তার পরিবার সুত্র জানায় জীবননগর থানায় এ ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে।